College professors will take classes! Education Department’s Decision to meet the shortage of teachers in Westbengal High Schools: বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করানোর জন্য উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব থাকলে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি পার্শ্ববর্তী কলেজ থেকে প্রফেসরদের ক্লাস করানোর জন্য আহ্বান করতে পারেন। আর সংসদের এই নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো শিক্ষা দপ্তর। ঠিক কি আপডেট হয়েছে? আদৌ এই মডেল কতটা যুক্তিসঙ্গত জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।
ক্লাস্টার মডেল পড়াশোনা নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের আপডেট
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্যের মতে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রদের শিক্ষার সামগ্রীক মানোন্নয়ন করতে এবং তাদের গুণমান সম্পন্ন শিক্ষাদান করতে বর্তমানে “ক্লাস্টার মডেল” (Cluster Model Teaching) উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকেরা পর্যাপ্ত না থাকলে স্কুলগুলি পার্শ্ববর্তী কলেজ থেকে প্রফেসরদের ক্লাস করানোর জন্য ডাকতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই স্থায়ী শিক্ষক হতে হবে।
রাজ্যজুড়ে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে বিশেষত বিজ্ঞান বিষয়ের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে অভাব মেটাতে যাতে পার্শ্ববর্তী স্কুল বা কলেজের শিক্ষকরা এসে পড়াতে পারেন সেই জন্যেই এই নব উদ্যোগ। কোন একটি স্কুলে পড়ানোর জন্য অন্য কোন স্কুল থেকে শিক্ষক এসে পড়ালে তাকে বলা হয় হরাইজন্টাল ক্লাস্টার এবং সংশ্লিষ্ট স্কুলে কোন কলেজ থেকে শিক্ষক এসে পড়ালে সেটি হচ্ছে ভার্টিক্যাল ক্লাস্টার।
অবশ্যই দেখো: HS Semester Class 11 Academic: একাদশ সেমিস্টার সূচী! ক্লাস, প্রজেক্ট, ফাইনাল পরীক্ষা! স্কুল শুরুর আগেই দেখে নাও
কলেজের প্রফেসর পড়াবেন স্কুলে: আদৌ কি সম্ভব?
শিক্ষকের অভাব না মিটলে স্কুলগুলি কলেজ থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ক প্রফেসর এনে স্কুলে পড়াতে পারেন (College professors will take classes in Westbengal High Schools)। সে ক্ষেত্রে যেমন শিক্ষকের অভাব মিটবে পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তাদের গুণমানসম্পন্ন শিক্ষা পাবেন। চলতি বছর থেকেই এই মডেলের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টারের আয়োজন করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞানের শিক্ষক অংক বিষয়টাও করিয়ে নিতে পারেন, কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক স্তরে তা সম্ভব নয়।
আরোও: স্কুলে বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেবে সরকার, সুবিধা ছাত্রছাত্রীদের! কবে চালু দেখে নিন
পদার্থবিদ্যা বা রসায়নবিদ্যার জন্য প্রত্যেকটি স্কুলে একজন থেকে দুজন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক রাখা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একজন শিক্ষক অন্য শিক্ষকের ক্লাস করাতে পারেন না, তাই শিক্ষকের অনটনের বিষয়টি অবশ্যই শিক্ষা পর্ষদের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু এই ক্লাস্টার মডেল চালু করলেও শিক্ষকের ঘাটতি ঠিক কতটা মিটবে তা কিন্তু ভাবার বিষয়।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »