How to Become a Pilot: পাইলট বা বিমানচালক কিভাবে হওয়া যায়? বিস্তারিত তথ্য দেখে নাও

How to Become a Pilot Flight in Bengali

ছেলেবেলায় মাথার উপর থেকে বিমান উড়ে গেলেই ইচ্ছে জাগতো আমিও যদি পাইলট হতে পারতাম! আমিও যদি বিমান নিয়ে মেঘের উপর থেকে উড়তে পারতাম! তবে, পাইলট হওয়া যে খুব একটা সোজা নয়, তা প্রত্যেকেই কমবেশি জানো তোমরা। তাই পাইলট পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা অর্জন করতে হয় ইত্যাদী বিষয়গুলি সঠিকভাবে না জানার জন্য অনেকেরই স্বপ্ন অধরা রয়ে যায়

   

এসবের কথা মাথায় রেখে আজকের এই প্রতিবেদনে আমি তোমাদের পাইলট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানাবো, বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তোমাদের।

পাইলট বা বিমানচালক কি? কত ধরনের পাইলট হওয়া যায়?

তোমাদের প্রথমেই বলে রাখি পাইলট মূলত দু রকমের হয়ে থাকে; যথা – যাত্রী, মালপত্র পরিবহণকারী বিমানচালক বা কমার্শিয়াল পাইলট এবং বায়ুসেনার বিমানচালক বা এয়ারফোর্স পাইলট

কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন? (Special Eligibilty)

পাইলট হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের থেকে কিছু যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে; যথা –

  • প্রার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে
  • সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে 18 থেকে 32 বছর বয়স্ক হতে হবে।
  • শারীরিক যোগ্যতা হিসেবে প্রাথীদের উচ্চতা নূন্যতম 162cm হতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে, উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ন্যূনতম 50% নম্বর নিয়ে পাশ করার কথা বলা হয়েছে।
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।

বিশেষ যোগ্যতা: একজন পাইলট হিসাবে ধূমপান (Smoking), মদ্যপান (Drinking) এবং কোন রকমের নেশা রাখা বা করা চলবে না এবং এই বিষয়ে যথেষ্ট সক্রিয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়।

বায়ুসেনার বিমানচালক বা এয়ারফোর্স পাইলট হতে গেলে প্রার্থীদের এয়ারফোর্স – এ যোগদানের জন্য সংশ্লিষ্ট NDA পরীক্ষা দিতে হয় এবং সমস্ত যোগ্যতা পূরণ করতে হয়, পরবর্তীতে যোগ্য প্রার্থীরা পড়াশোনার জন্য ভর্তি নেওয়া হয় এবং সম্পূর্ণ পাইলট হিসাবে যোগদান করেন।

পরবর্তী দেখো: BDO (Block Development Officer) হতে গেলে কি নিয়ে পড়তে হয়? যোগ্যতা কি লাগবে? সবকিছু জেনে নাও

ফ্লাইং- স্কুলে ভর্তির জন্য পরীক্ষা (Admission Test)

এক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হিসেবে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়, পরবর্তী ধাপে হয় ইন্টারভিউ। ইন্টারভিউয়ে পাশ করলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই তিনটি পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই ফ্লাইং- স্কুলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ভর্তি হতে পারে।

  • ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান একাডেমি: https://igrua.gov.in/

SPL বা স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স: ফ্লাইং স্কুলে ভর্তির পর পড়ুয়াদের স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স দেওয়া হয়। ফ্লাইং স্কুলে সাধারণত দেড় থেকে দু’বছরের কোর্স হয় এবং কোর্স চলাকালীন পড়ুয়াদের বিমান সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় হাতে কলমে শেখানো হয়ে থাকে।

PPL বা প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স: ফ্লাইং স্কুলে 60 ঘণ্টা ট্রেনিং- এর পর দ্বিতীয় লাইসেন্স হিসাবে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে।

CPL বা কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স

ফ্লাইং স্কুলে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স পাওয়ার পরবর্তী স্তরে 210 ঘণ্টার ট্রেনিং শেষে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স দেওয়া হয়।

পাইলটদের বেতন কত?

একজন কমার্শিয়াল পাইলট চাকরি জীবনের শুরুতেই 50,000 থেকে 1,000,00 লক্ষ টাকা প্রতি মাসে পর্যন্ত রোজগার করে থাকেন। তবে, অভিজ্ঞতা ও সময়ের বাড়ার সাথে সাথে একজন পাইলট প্রতি মাসে 6,000,00 টাকা (ছয় লক্ষ টাকা) পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন

অবশ্যই দেখুন: উচ্চমাধ্যমিকের পর ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা, সেরা ৫ কোর্স দেখে নিন

সবশেষে, পাইলট কেরিয়ার সম্পর্কে লেখা আজকের এই প্রতিবেদনটি এখানেই শেষ হল। আশা করছি তোমাদের এটা অনেকটাই কাজে লাগবে।। যদি তোমাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করে দিও।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপটেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -

Join Group

Telegram