চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা [১০ নম্বর] (বাঙালি বিজ্ঞানীদের ভূমিকা) | Chandrayaan-3 Rochona PDF

EduTips Tutor

Published on:

YouTube Share PDF
আজকের নোট-সাজেশনের মূল বিষয় হল “চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা”। চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনাটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মানস মানচিত্রে ১০ নম্বরের চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনাটি আসার প্রবণতার প্রবল (চন্দ্রযান ৩ রচনা class 12) এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনাটি ১০ নম্বরের (chandrayaan 3 rochona in bengali) আসার প্রবণতা প্রবল। এছাড়াও পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের ফাইনাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই প্রবন্ধ রচনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সম্পূর্ণ প্রবন্ধ রচনা নিচে দেওয়া রয়েছে এবং সবশেষে সম্পূর্ণ রচনাটির পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া রয়েছে তোমরা সহজে সেটি ডাউনলোড করে প্র্যাকটিস করতে পারো। চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা | Chandrayaan 3 Rochona in Bengali "আয়-আয় চাঁদমামা টি দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টি দিয়ে যা" ভূমিকা ছেলে ভোলানো ছড়ার চাঁদমামা আজ বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নতুন দিগন্তের সূচক হতে চলেছে। কারণ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার অতি সম্পত্তি এক অভিনব মাইল ফলক হল "চন্দ্রযান-৩"। এটি হলো ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ISRO (Indian Space Research Organization) কর্তৃক পরিচালিত ভারতের চন্দ্রঅভিযান কর্মসূচির অন্তর্গত তৃতীয় চন্দ্র-অন্বেষণ অভিযান। প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান ৩-এর যে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যগুলি নির্ধারণ করেছেন, সেগুলি হলো - ১) এক নম্বর হচ্ছে, চাঁদের পৃষ্ঠের গঠন আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠে উপলব্ধ উপকরণগুলির উপর ইনসাইড পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা চালানো। ২) চাঁদের রোভারে লোটারিং ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ এবং প্রদর্শন করা। ৩) চাঁদের গর্তগুলিতে কয়েকশো কোটি বছর ধরে সূর্যের আলো পড়েনি তাই সৌরজগতের সৃষ্টির নানা তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের দক্ষিণ মেরুর অংশটা থেকেই। সেই জন্য সেখানে নিশ্চয়ই অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। ৪) গর্তগুলি সব সময় ছায়ায় ছায়ায় থাকে। আশা করা যাচ্ছে সেখানে ১০০ মিলিয়ন টন জল আছে, সেই গর্তগুলোতে যেহেতু সূর্যের আলো পৌঁছায়নি। ৫) চাঁদে থাকতে পারে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন, সিলভার, মার্কারি, সোডিয়াম মিথেনের বিশাল ভান্ডার এবং ভবিষ্যতে চাঁদের মাটিতে মহাকাশ অভিযানের কাজে লাগানো। তো এইসব কারণে কিন্তু চন্দ্রযান অভিযানের গুরুত্ব আরো বেশি হয়ে উঠেছে। অভিযানের রূপরেখা আসলে অভিযানের রূপরেখা কি? অভিযানে প্রপালশন মডিউল launder ও rover ব্যবহৃত হয়েছে, তবে কোন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরিত হয়নি। অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। এই অভিযানের মাধ্যমে পূর্বসূরী USRR, NASA এবং CNSA এদের পরেই ইসরো চাঁদে সুরক্ষিত অবতরণে সক্ষম চতুর্থ মহাকাশ সংস্থায় পরিণত হয়েছে এবং এটা ভারত তথা ভারতবাসীর কাছে একটা গর্বের বিষয়। অবতরণ স্থল নির্বাচন চন্দ্রযান তিনের সম্ভাব্য অবতরস্থল গুলির জন্য বৈজ্ঞানিকরা কঠোর মানদণ্ড নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে নির্বাচন করেছিলেন কারণ চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরু স্থানগুলি পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চন্দ্রপৃষ্ঠের অংশের পরিধি গুলি নয়। এই অংশের স্থানগুলির সমতল ছিল এবং ল্যান্ডার অবতরণস্থলের কাছে পৌঁছালে স্থানগুলি থেকে যাতে কোন প্রকার বস্তু উড়ে আসতে না পারে তা সুনিশ্চিত করা হয়েছিল লান্গ্মুয়ার প্রোব দ্বারা। উৎক্ষেপণ ১৪ জুলাই শুক্রবার নির্ধারিত সময় দুপুর দুটা বেজে ৩৫ মিনিটে এল ভি এম থ্রি রকেট কমলা সাদা ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে চাঁদের মাটির স্পর্শের লক্ষ্যে রওনা দিল। এই চন্দ্রযাত্রীর চন্দ্র অভিযানের সফল উৎক্ষেপনের সারা ভারত এক ইতিহাস রচনা হলো। মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে মহাকাশযানটি তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায়। ২৩ আগস্ট ঠিক সন্ধ্যা ছটা বেজে চার মিনিটে বিক্রম সফলভাবে সফটল্যান্ডিং (Soft-landing) করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সাফল্য উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার ফলে একদিকে যেমন ভারতীয় স্পেস রিচার্জ প্রোগ্রাম কয়েক কদম এগিয়ে গেল, ঠিক তেমনি ভারত বিশ্বের অনেক দেশকে পিছনে ফেলে দিল। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে। চন্দ্র অবতরণের ক্ষেত্রে আমেরিকা রাশিয়া চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান পাঠানো আর এইখানেই ভারতের চূড়ান্ত সাফল্য, প্রথম দেশ হিসাবে ভারতের নাম গর্বের সঙ্গে লেখা থাকবে।। প্রযুক্তিগত দিক সোনাতে মুড়ে প্রায় চার লক্ষ কিলোমিটার দূরে গেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। এই সোনা আসলে পলিমাইড এবং অ্যালুমিনিয়াম-এর একটি মিশ্র ধাতু, যার সামনে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম। "বিক্রম" ও "প্রজ্ঞান"-কে সচল রাখতে সূর্যের বিকিরণ থেকে রক্ষা করতে এই ব্যবস্থা। তা নাহলে মহাজাগতিক রশ্মির ঝড়ঝাপটাই গরম হয়ে যন্ত্রনা গুলি বিকল হয়ে পড়তে পারে। ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন পৃথিবীতে শক্তির চাহিদা মেটাবে চাঁদ। শক্তির প্রয়োজনে মেটাতে কয়লা বা প্রকৃতির গ্যাস লাগবে না। পৃথিবীর উষ্ণায়নের দিক থেকেও রক্ষা করবে চাঁদের শক্তি। আগামী ৩০ বছরে চাঁদ পৃথিবীর যাবতীয় শক্তির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে এর প্রধান কারণ হিসেবে বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন হিলিয়াম মৌল। পৃথিবীতে ৫ হাজার কিলো ওজনের কয়লা পোড়ালে যতটুকু শক্তি উৎপন্ন হয় চাঁদের মত ৪০ গ্রাম হিলিয়াম মৌল থেকে তৈরি হবে ততটা শক্তি। পৃথিবীর পুরো বায়ুমন্ডলে বাধা পেয়ে সূর্যের হিলিয়াম মৌলটি আর পাওয়া যায় না। কিন্তু চাঁদে বায়ুমণ্ডল না থাকায় সূর্য থেকে আগত হিলিয়াম থ্রি মৌলটি অবিকৃতই থেকে যায়। চাঁদে আমেরিকা যতগুলো অ্যাপেলো মিশন পাঠিয়েছে তাদের সকলেরই লক্ষ্য ছিল আমাদের উপগ্রহের ওই তেজস্ক্রিয় মৌলগুলির সন্ধান ও সেগুলি কি মাত্রায় রয়েছে তার খোঁজ খবর নেওয়া । অর্থায়ন ইসরোর প্রকল্পটির প্রাথমিক অর্থায়নের জন্য অনুমোদন করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। যার মধ্য ৬০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য এবং বাকি ১৫ কোটি রাজস্ব ব্যয়ের জন্য। তথ্য অনুসারে সমগ্র প্রকল্পটির সফলভাবে সম্পন্ন করতে ৬১৫ কোটি ভারতীয় টাকা খরচ হয়েছে। প্রমুখ বিজ্ঞানীদের ভূমিকা চন্দ্রযান ৩ মিশনের পেছনে রয়েছে একশোর বেশি বিজ্ঞানী এবং সহযোগীদের অক্লান্ত পরিশ্রম।  যে সমস্ত বিজ্ঞানীগণ এই প্রকল্প ভূমিকা নিয়েছেন তারা হলেন শ্রীধর পানিকর সোমনাথ (ইসরোর চেয়ারম্যান) এবং মুথয়া বনিতা (প্রজেক্ট ডিরেক্টর)। চন্দ্রযান-৩ মিশনে প্রায় ৫৪ জন মহিলা ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেছিলেন। পুরো টিমের মধ্যে ২৫ জন বাঙালি বিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ারের প্রত্যক্ষ অংশীদারত্ব রয়েছে। বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদান Chandrayaan 3 সফল উৎক্ষেপণের পেছনে রয়েছে প্রায় ২৫ জন বঙ্গ সন্তানের অদম্য কৃতিত্ব। হুগলি থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে কলকাতা। বাংলার একেকটি রত্নের নিরলস পরিশ্রম দেশকে চাঁদে পৌঁছে। মহাকাশ বিজ্ঞানেও বাঙালিরা যে রিসার্ভ বেঞ্চে বসে থাকার পাত্র নন, তার প্রমাণ মিলল ভারতের এই গৌরবান্বিত মিশন থেকেই। বন্ধ ঘরে বদ্ধ না থেকে, বিশ্ব থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য সমাধানে ছুটে গিয়েছেন তাঁরা। রামকৃষ্ণ মিশনের বেলুড় প্রাক্তন ছাত্র অমিত মাজি, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মানস সরকার, উত্তর দিনাজপুরের অনুজ নন্দী, উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে উত্তীর্ণ মৌমিতা দত্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বিজয় কুমার দাই, সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ গুপ্ত, সাউথ পয়েন্ট প্রাক্তন ছাত্র অভ্রজিত রায়, ডন বস্কো স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ বসু, হুগলির উত্তরপাড়ার সুমিতেশ সরকার এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দেবজ্যোতি ধর, কৌশিক নাগ, তমলুকের আর্য রানা, বহরমপুরের টসকিল ওয়ারা, যাদবপুরের কৃশানু নন্দী, বিশ্বভারতীর মহম্মদ মোশারফ হোসেন, কলকাতা থেকে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যাদবপুরের রাজীব সাহা। চন্দ্রযান প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর তুষার কান্তি দাস, রয়েছেন চয়ন দত্ত, IIST থেকে সৌরভ মাজি, নদিয়া থেকে পীযুষ কান্তি প্রামাণিক এবং বেসু থেকে রিন্টু নাথ। ** [যদি বিশেষভাবে চন্দ্রযান-৩ সাফল্যে বাঙালি বিজ্ঞানীদের ভূমিকা আছে তাহলে এত বিস্তারিতভাবে লিখবে নইলে শুধুমাত্র অল্প সংক্ষেপে লিখে ছেড়ে দেবে। তোমাদের সুবিধার্থে সমস্ত বিস্তারিত বিবরণী আমরা দিয়ে রাখলাম] উপসংহার দাদু দিদিমার গল্পে চাঁদের চরকা কাটা বুড়ি কিংবা পাশ্চাত্যের কল্পবিজ্ঞানে চাঁদের বাসিন্দাদের উল্লেখ থাকলেও আদতে কিন্তু চাঁদ প্রাণহীন। বাড়ির ছাদ থেকে খালি চোখে দেখে প্রাণহীন মনে হলেও, ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সাফল্য চাঁদকে যেন আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলেছে।সমস্ত দেশবাসীর কাছে তেইশে আগস্ট ২০২৩ দিনটি হৃদয়ে ভারতের ইতিহাসের সর্বাক্ষরের লেখা থাকবে। অতীতের অসফলতা কটুক মন্তব্যকে ছিন্ন-ভিন্ন করে, আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে মহাকাশ গবেষণার আগ্রহ, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দিগন্তের প্রশস্থ পথ খুলে দিয়েছে ইসরো চন্দ্রযান-৩ সফল অভিযান। চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা (PDF Download) | chandrayaan 3 Class 10, 12 বাংলায় চন্দ্রযান ৩ সাজেশন রচনাটি তোমাদের সব ক্লাসের জন্য কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ, চন্দ্রযান ৩ রচনা pdf চন্দ্রযান ৩ রচনা class 12 চন্দ্রযান ৩ রচনা class 10 চন্দ্রযান ৩ রচনা বাংলা চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা class 8 চন্দ্রযান ৩ রচনা class 8 চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা class 9 [PDF Link] তোমাদের সুবিধার জন্য পিডিএফটি তোমরা ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে পড়াশোনা করতে পারো: Chandrayaan-3 Rochona Download PDF আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন: Chandrayaan 3 Report Writing (10 Marks) Madhyamik & HS চন্দ্রযান ৩ বাংলা প্রতিবেদন রচনা (মাধ্যমিক) 5 Marks Chandrayaan 3 Bangla Suggestion চন্দ্রযান ৩ রচনা pdf chandrayaan 3 probondho rochona in bengali madhyamik hs School

আজকের নোট-সাজেশনের মূল বিষয় হল “চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা”। চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনাটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মানস মানচিত্রে ১০ নম্বরের চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনাটি আসার প্রবণতার প্রবল (চন্দ্রযান ৩ রচনা class 12) এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনাটি ১০ নম্বরের (chandrayaan 3 rochona in bengali) আসার প্রবণতা প্রবল। এছাড়াও পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের ফাইনাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই প্রবন্ধ রচনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সম্পূর্ণ প্রবন্ধ রচনা নিচে দেওয়া রয়েছে এবং সবশেষে সম্পূর্ণ রচনাটির পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া রয়েছে তোমরা সহজে সেটি ডাউনলোড করে প্র্যাকটিস করতে পারো

চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা | Chandrayaan 3 Rochona in Bengali

"আয়-আয় চাঁদমামা টি দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টি দিয়ে যা"

ভূমিকা

ছেলে ভোলানো ছড়ার চাঁদমামা আজ বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নতুন দিগন্তের সূচক হতে চলেছে। কারণ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার অতি সম্পত্তি এক অভিনব মাইল ফলক হল “চন্দ্রযান-৩“। এটি হলো ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ISRO (Indian Space Research Organization) কর্তৃক পরিচালিত ভারতের চন্দ্রঅভিযান কর্মসূচির অন্তর্গত তৃতীয় চন্দ্র-অন্বেষণ অভিযান।

প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য

ইসরোর বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান ৩-এর যে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যগুলি নির্ধারণ করেছেন, সেগুলি হলো –

১) এক নম্বর হচ্ছে, চাঁদের পৃষ্ঠের গঠন আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠে উপলব্ধ উপকরণগুলির উপর ইনসাইড পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা চালানো।

২) চাঁদের রোভারে লোটারিং ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ এবং প্রদর্শন করা।

৩) চাঁদের গর্তগুলিতে কয়েকশো কোটি বছর ধরে সূর্যের আলো পড়েনি তাই সৌরজগতের সৃষ্টির নানা তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের দক্ষিণ মেরুর অংশটা থেকেই। সেই জন্য সেখানে নিশ্চয়ই অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

৪) গর্তগুলি সব সময় ছায়ায় ছায়ায় থাকে। আশা করা যাচ্ছে সেখানে ১০০ মিলিয়ন টন জল আছে, সেই গর্তগুলোতে যেহেতু সূর্যের আলো পৌঁছায়নি।

৫) চাঁদে থাকতে পারে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন, সিলভার, মার্কারি, সোডিয়াম মিথেনের বিশাল ভান্ডার এবং ভবিষ্যতে চাঁদের মাটিতে মহাকাশ অভিযানের কাজে লাগানো। তো এইসব কারণে কিন্তু চন্দ্রযান অভিযানের গুরুত্ব আরো বেশি হয়ে উঠেছে।

অভিযানের রূপরেখা

আসলে অভিযানের রূপরেখা কি? অভিযানে প্রপালশন মডিউল launder ও rover ব্যবহৃত হয়েছে, তবে কোন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরিত হয়নি। অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। এই অভিযানের মাধ্যমে পূর্বসূরী USRR, NASA এবং CNSA এদের পরেই ইসরো চাঁদে সুরক্ষিত অবতরণে সক্ষম চতুর্থ মহাকাশ সংস্থায় পরিণত হয়েছে এবং এটা ভারত তথা ভারতবাসীর কাছে একটা গর্বের বিষয়।

অবতরণ স্থল নির্বাচন

চন্দ্রযান তিনের সম্ভাব্য অবতরস্থল গুলির জন্য বৈজ্ঞানিকরা কঠোর মানদণ্ড নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে নির্বাচন করেছিলেন কারণ চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরু স্থানগুলি পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চন্দ্রপৃষ্ঠের অংশের পরিধি গুলি নয়। এই অংশের স্থানগুলির সমতল ছিল এবং ল্যান্ডার অবতরণস্থলের কাছে পৌঁছালে স্থানগুলি থেকে যাতে কোন প্রকার বস্তু উড়ে আসতে না পারে তা সুনিশ্চিত করা হয়েছিল লান্গ্মুয়ার প্রোব দ্বারা।

উৎক্ষেপণ

১৪ জুলাই শুক্রবার নির্ধারিত সময় দুপুর দুটা বেজে ৩৫ মিনিটে এল ভি এম থ্রি রকেট কমলা সাদা ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে চাঁদের মাটির স্পর্শের লক্ষ্যে রওনা দিল। এই চন্দ্রযাত্রীর চন্দ্র অভিযানের সফল উৎক্ষেপনের সারা ভারত এক ইতিহাস রচনা হলো। মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে মহাকাশযানটি তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায়। ২৩ আগস্ট ঠিক সন্ধ্যা ছটা বেজে চার মিনিটে বিক্রম সফলভাবে সফটল্যান্ডিং (Soft-landing) করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে

সাফল্য

উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার ফলে একদিকে যেমন ভারতীয় স্পেস রিচার্জ প্রোগ্রাম কয়েক কদম এগিয়ে গেল, ঠিক তেমনি ভারত বিশ্বের অনেক দেশকে পিছনে ফেলে দিল। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে। চন্দ্র অবতরণের ক্ষেত্রে আমেরিকা রাশিয়া চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান পাঠানো আর এইখানেই ভারতের চূড়ান্ত সাফল্য, প্রথম দেশ হিসাবে ভারতের নাম গর্বের সঙ্গে লেখা থাকবে।।

প্রযুক্তিগত দিক

সোনাতে মুড়ে প্রায় চার লক্ষ কিলোমিটার দূরে গেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। এই সোনা আসলে পলিমাইড এবং অ্যালুমিনিয়াম-এর একটি মিশ্র ধাতু, যার সামনে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম। “বিক্রম” ও “প্রজ্ঞান“-কে সচল রাখতে সূর্যের বিকিরণ থেকে রক্ষা করতে এই ব্যবস্থা। তা নাহলে মহাজাগতিক রশ্মির ঝড়ঝাপটাই গরম হয়ে যন্ত্রনা গুলি বিকল হয়ে পড়তে পারে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন পৃথিবীতে শক্তির চাহিদা মেটাবে চাঁদ। শক্তির প্রয়োজনে মেটাতে কয়লা বা প্রকৃতির গ্যাস লাগবে না। পৃথিবীর উষ্ণায়নের দিক থেকেও রক্ষা করবে চাঁদের শক্তি। আগামী ৩০ বছরে চাঁদ পৃথিবীর যাবতীয় শক্তির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে এর প্রধান কারণ হিসেবে বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন হিলিয়াম মৌল।

পৃথিবীতে ৫ হাজার কিলো ওজনের কয়লা পোড়ালে যতটুকু শক্তি উৎপন্ন হয় চাঁদের মত ৪০ গ্রাম হিলিয়াম মৌল থেকে তৈরি হবে ততটা শক্তি। পৃথিবীর পুরো বায়ুমন্ডলে বাধা পেয়ে সূর্যের হিলিয়াম মৌলটি আর পাওয়া যায় না। কিন্তু চাঁদে বায়ুমণ্ডল না থাকায় সূর্য থেকে আগত হিলিয়াম থ্রি মৌলটি অবিকৃতই থেকে যায়।

চাঁদে আমেরিকা যতগুলো অ্যাপেলো মিশন পাঠিয়েছে তাদের সকলেরই লক্ষ্য ছিল আমাদের উপগ্রহের ওই তেজস্ক্রিয় মৌলগুলির সন্ধান ও সেগুলি কি মাত্রায় রয়েছে তার খোঁজ খবর নেওয়া ।

অর্থায়ন

ইসরোর প্রকল্পটির প্রাথমিক অর্থায়নের জন্য অনুমোদন করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। যার মধ্য ৬০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য এবং বাকি ১৫ কোটি রাজস্ব ব্যয়ের জন্য। তথ্য অনুসারে সমগ্র প্রকল্পটির সফলভাবে সম্পন্ন করতে ৬১৫ কোটি ভারতীয় টাকা খরচ হয়েছে।

প্রমুখ বিজ্ঞানীদের ভূমিকা

চন্দ্রযান ৩ মিশনের পেছনে রয়েছে একশোর বেশি বিজ্ঞানী এবং সহযোগীদের অক্লান্ত পরিশ্রম।  যে সমস্ত বিজ্ঞানীগণ এই প্রকল্প ভূমিকা নিয়েছেন তারা হলেন শ্রীধর পানিকর সোমনাথ (ইসরোর চেয়ারম্যান) এবং মুথয়া বনিতা (প্রজেক্ট ডিরেক্টর)।

চন্দ্রযান-৩ মিশনে প্রায় ৫৪ জন মহিলা ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেছিলেন। পুরো টিমের মধ্যে ২৫ জন বাঙালি বিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ারের প্রত্যক্ষ অংশীদারত্ব রয়েছে।

বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদান

Chandrayaan 3 সফল উৎক্ষেপণের পেছনে রয়েছে প্রায় ২৫ জন বঙ্গ সন্তানের অদম্য কৃতিত্ব। হুগলি থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে কলকাতা। বাংলার একেকটি রত্নের নিরলস পরিশ্রম দেশকে চাঁদে পৌঁছে। মহাকাশ বিজ্ঞানেও বাঙালিরা যে রিসার্ভ বেঞ্চে বসে থাকার পাত্র নন, তার প্রমাণ মিলল ভারতের এই গৌরবান্বিত মিশন থেকেই। বন্ধ ঘরে বদ্ধ না থেকে, বিশ্ব থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য সমাধানে ছুটে গিয়েছেন তাঁরা।

রামকৃষ্ণ মিশনের বেলুড় প্রাক্তন ছাত্র অমিত মাজি, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মানস সরকার, উত্তর দিনাজপুরের অনুজ নন্দী, উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে উত্তীর্ণ মৌমিতা দত্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বিজয় কুমার দাই, সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ গুপ্ত, সাউথ পয়েন্ট প্রাক্তন ছাত্র অভ্রজিত রায়, ডন বস্কো স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ বসু, হুগলির উত্তরপাড়ার সুমিতেশ সরকার এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

দেবজ্যোতি ধর, কৌশিক নাগ, তমলুকের আর্য রানা, বহরমপুরের টসকিল ওয়ারা, যাদবপুরের কৃশানু নন্দী, বিশ্বভারতীর মহম্মদ মোশারফ হোসেন, কলকাতা থেকে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যাদবপুরের রাজীব সাহা। চন্দ্রযান প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর তুষার কান্তি দাস, রয়েছেন চয়ন দত্ত, IIST থেকে সৌরভ মাজি, নদিয়া থেকে পীযুষ কান্তি প্রামাণিক এবং বেসু থেকে রিন্টু নাথ।

** [যদি বিশেষভাবে চন্দ্রযান-৩ সাফল্যে বাঙালি বিজ্ঞানীদের ভূমিকা আছে তাহলে এত বিস্তারিতভাবে লিখবে নইলে শুধুমাত্র অল্প সংক্ষেপে লিখে ছেড়ে দেবে। তোমাদের সুবিধার্থে সমস্ত বিস্তারিত বিবরণী আমরা দিয়ে রাখলাম]

উপসংহার

দাদু দিদিমার গল্পে চাঁদের চরকা কাটা বুড়ি কিংবা পাশ্চাত্যের কল্পবিজ্ঞানে চাঁদের বাসিন্দাদের উল্লেখ থাকলেও আদতে কিন্তু চাঁদ প্রাণহীন। বাড়ির ছাদ থেকে খালি চোখে দেখে প্রাণহীন মনে হলেও, ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সাফল্য চাঁদকে যেন আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলেছে।সমস্ত দেশবাসীর কাছে তেইশে আগস্ট ২০২৩ দিনটি হৃদয়ে ভারতের ইতিহাসের সর্বাক্ষরের লেখা থাকবে।

অতীতের অসফলতা কটুক মন্তব্যকে ছিন্ন-ভিন্ন করে, আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে মহাকাশ গবেষণার আগ্রহ, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দিগন্তের প্রশস্থ পথ খুলে দিয়েছে ইসরো চন্দ্রযান-৩ সফল অভিযান।

চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা (PDF Download) | chandrayaan 3 Class 10, 12

বাংলায় চন্দ্রযান ৩ সাজেশন রচনাটি তোমাদের সব ক্লাসের জন্য কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ,

  1. চন্দ্রযান ৩ রচনা pdf
  2. চন্দ্রযান ৩ রচনা class 12
  3. চন্দ্রযান ৩ রচনা class 10
  4. চন্দ্রযান ৩ রচনা বাংলা
  5. চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা class 8
  6. চন্দ্রযান ৩ রচনা class 8
  7. চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা class 9

[PDF Link] তোমাদের সুবিধার জন্য পিডিএফটি তোমরা ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে পড়াশোনা করতে পারো:

পিডিএফ নামডাউনলোড
চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনাDownload PDF
  • Chandrayaan 3 Report Writing (10 Marks) Madhyamik & HS
  • চন্দ্রযান ৩ বাংলা প্রতিবেদন রচনা (মাধ্যমিক) 5 Marks Chandrayaan 3 Bangla Suggestion

মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত সাজেশন নোটস পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন। এছাড়াও আমাদের গ্রুপে স্কুল কলেজের খবর এবং মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ও গ্রাজুয়েশন এর পাশে চাকরির খবর ইত্যাদি পোস্ট করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য ক্লাসের সাজেশন পেতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারো

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপটেলিগ্রাম Study গ্রুপে যুক্ত হোন -

Leave a Comment

Join Group

Telegram