রাজ্যের শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করে ৭ লক্ষ টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে চলে গেছে! “তরুণের স্বপ্ন” প্রকল্পের অধীনে ট্যাব কেনার জন্য সরকারি তহবিল থেকে বরাদ্দ অর্থ ছাত্রছাত্রীর কাছে পৌঁছনোর পরিবর্তে প্রতারকদের হাতে চলে যায়। কেন এমন ঘটলো? প্রশাসনিক কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কি আপডেট রয়েছে? আজকের প্রতিবেদনে।
সরকারি শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক: পূর্ব মেদিনীপুরের পড়ুয়াদের টাকা উধাও
অক্টোবর মাসের শুরুতে রাজ্য সরকার ছেলেমেয়েদের ট্যাব কেনার জন্য তাদের অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রেরণ করে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু স্কুলের ৭০ জন ছাত্রছাত্রী তাদের প্রাপ্য টাকা পাননি। পরে জানা যায়, প্রতারকরা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করে নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রায় ছাত্র-ছাত্রীদের ৭ লক্ষ টাকা, 10 হাজার টাকা করে মাথাপিছু প্রতারকদের কাছে চলে গেছে।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও লেটেস্ট আপডেট
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার বিষয়ে সরকারকে অবগত করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্রতারকদের অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই ব্লক করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: Journalist বা সাংবাদিক হতে কি নিয়ে পড়তে হয়? যোগ্যতা, দক্ষতা ও বেতন জেনে নিন
অর্থাৎ প্রথম ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল দিক থেকে পোর্টালে অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলের ফলেই টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের একাউন্টের বদলে তাদের একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারা সেই অ্যাকাউন্টের টাকা তুলতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদের অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে এবং খুব সেগুলোই সেগুলি পুনরুদ্ধার হবে।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের খুঁটিনাটি আপডেট | Click Here |
বাংলার শিক্ষা সরকারি পোর্টাল | banglarshiksha.gov.in |
অবশ্যই দেখুন: স্কুল খুললেই পরীক্ষা! মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক টেস্ট, পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। ডিজিটাল দুনিয়াতে যেখানে সরকারি ক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতা দেখা দিচ্ছে যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকগণকে আরও সতর্ক থাকতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
আরও আপডেট »