করোনা পরবর্তী সময় থেকে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে দেশের প্রায় প্রত্যেক মানুষের উপর। কেউ বা হারিয়েছে ঘর আর কেউ বা হারিয়েছে চাকরি। বিগত দুবছর করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেও দেশের কর্মসংস্থানের ছবিটা আশানুরুপ নয়। সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ হচ্ছে না জানিয়ে ইতিমধ্যে বিক্ষোভ করেছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। আর তা থেকে হতাশা ও হীনমন্যতায় ভুগছেন দেশের শিক্ষিত বেকারেরা।
আর যে হারে বর্তমানে বেকারত্ব বাড়ছে সেই পরিমানে চাকরি না থাকায় সমাজে এর ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারেবলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারেরও রীতিমতো কালঘাম ছুটছে। আর এই বেকারদের কিছুটা স্বস্তির শ্বাস দিতে নয়া প্রকল্পের উদ্বোধন কেন্দ্রীয় সরকারের। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসে থাকা বেকাররা কোনও কাজ না করেও মাসিক ২,৫০০ টাকা অবধি ভাতা পেতে পারেন।
Westbengal Employment Exchange scheme
প্রসঙ্গত, ঘরে ঘরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করা তরুন তরুনীরা বসে আছে। আজকাল PhD পাশ করা ছাত্রছাত্রীদেরও ডোমের কাজের জন্য আবেদন করতে দেখা যায়। যে হারে শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ছে সেই হারে নেই চাকরি আর সেই কারনে ঘরে ঘরে আজ এমন বেহাল দশা। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বেকার পাশ করা ছেলেমেয়েদের কিছুটা স্বস্তির শ্বাস দিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যুবশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন যার দৌলতে বেকার ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে মাসিক ১,৫০০ টাকা অবধি ভাতা পাবে।
তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তত্বাবধানে চালু হয়েছে নতুন প্রকল্প যেখানে বেকার যুবক যুবতীরা মাসিক ২৫০০ টাকা ভাতা হিসেবে পাবে। তবে পুরো টাকাটা যে কেন্দ্রীয় সরকার দেবে তা নয়। ভাতার ৬০% দেবে রাজ্য সরকার ও অবশিষ্ট ৪০% দেবে কেন্দ্র সরকার।
কারা কারা এই ভাতা পাবেন?
১) আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। ২) আবেদনকারীকে অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে। তবে উচ্চশিক্ষিত হলে সমস্যা নেই। ৩) আবেদনকারী যুবক বা যুবতীকে অবশ্যই বেকার হতে হবে। কোন সরকারি বা বেসরকারী সংস্থায় নিযুক্ত থাকা চলবে না।
৪) সরকারি কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রে উক্ত বেকারের নামও ট্রেনিং পোগ্রামেও নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। ৫) পারিবারিক বাৎসরিক আয় ২.৫ লক্ষের কম হতে হবে। ৬) উক্ত প্রার্থীকে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে সর্বনিম্ন ২ বছর পূর্বে নাম নথিভুক্ত রাখতে হবে।
আবেদন করার সরাসরি লিংক: Apply Now
Apply: নয়া প্রকল্প রাজ্য সরকারের! প্রত্যেক শিক্ষার্থী পাবেন ৩০,০০০ টাকা, আবেদন পদ্ধতি জেনে দিন
প্রসঙ্গত, আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে যুবশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ায় নাম লেখায়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অবশ্য পাশ্ববর্তী ছত্তিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড ও অসমের বেকার যুবক যুবতীরা অবশ্য এই সুযোগ পাবেন।অন্যদিকে সরকারি স্ব-কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রে যে বেকারদের নাম নথিভুক্ত থাকবে এবং যারা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের প্রফেশনাল ট্রেনিংয়ে যেসকল বেকার দের নাম নথিভুক্ত থাকবে কেবল তারাই এই ভাতা পাবে।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন ও প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিনা পাওয়া অবধি এই ভাতা পাবেন সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী। প্রশিক্ষণ শেষে উপযুক্ত চাকরি পাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যাবে এই ভাতা।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »