বেসরকারি স্কুলেও বিনামূল্যে দেওয়া হবে সরকারি বই! ঘোষণা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, দেখে নিন


রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো একটা বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার! বিগত বছরগুলিতে আমরা দেখে এসেছি রাজ্য জুড়ে সকল সরকারি স্কুলগুলিতেই বিনামূল্যে বই, স্কুলের পোশাক, সাইকেল সহ অন্যান্য সামগ্রী সবই বিতরণ করা হয়ে থাকে।সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুপ্রেরণায় রাজ্যজুড়ে সরকারের স্বীকৃত বেসরকারি স্কুলগুলিতেও বিনামূল্যে পুস্তক বিতরণ করা হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এরকমই একটি বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, তুলে ধরব আজকের প্রতিবেদনে।

   

Free Textbooks for Private Schools: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, প্রান্তিক এলাকা গুলিতে বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র সংখ্যা সাধারণত কম। আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষা। আর তাদের জন্য বইয়ের ব্যবস্থা করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পাশাপাশি বোর্ডের অধীনস্থ অন্যান্য বেসরকারি স্কুলগুলিতে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমেই বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পেতে পারবে।

সূত্রে খবর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনস্থ দুঃস্থ এলাকায় অন্তর্গত স্কুলের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ টি রয়েছে। আর্থিক অনটনের কারণে যাতে শিক্ষায় বিচ্ছেদ না পড়ে সে কারণে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত।

পরবর্তী পড়ুন: শিক্ষকদের ওপর নজরদারি চালাবে শিক্ষা দপ্তর! প্রধান শিক্ষকদের চিঠি, কি কারণে?

শিক্ষা মহলের প্রতিক্রিয়া ও রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেছেন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীবৃন্দ। তাদের বক্তব্য রাজ্যে যখন শিক্ষক হীনতায় ভুগছে, আর্থিক দুরবস্থার কারণে ধুকছে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিকে সমর্থন করা নিতান্তই বিরোধিতা ছাড়া কিছু নয়।

সরকারি উৎসাহতেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের করানোর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে যা কখনোই কাঙ্খিত নয়। রাজ্য সরকারের সেই সকল দুস্থ এলাকাগুলিতে ঢালাও করে শিক্ষা ব্যবস্থা পুনরায় সাজিয়ে তোলা উচিত, শিক্ষা ব্যবস্থার বেসরকারিকরণে উৎসাহ দিয়ে নয়।

WBBSE Notice on Free book to Govy Affliated Private Schools Westbengal
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটwbbse.wb.gov.in
পাঠ্যবই সংক্রান্ত ফর্ম এবং নোটিশView PDF

অবশ্যই দেখবেন: শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নির্দেশ বিকাশ ভবনের! কি বলা হলো নোটিশে? দেখে নিন

রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক এবং সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি বিচার করে পাঠ্যপুস্তক এর দাম তুলনামূলকভাবে কমানো উচিত, যাতে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি পাঠ্যপুস্তক কিনে পড়ার মতো ক্ষমতা রাখতে পারে। বাংলার পড়াশোনার আপডেটেড খবর সবার আগে আমাদের পোর্টালে!

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপটেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -

Join Group

Telegram