নমস্কার প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, তোমরা যারা ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য কয়েকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা সাজেশন হিসাবে আজকের পোস্টে তোমাদেরকে শেয়ার করে দেওয়া হল। যে প্রবন্ধ রচনাগুলি তোমরা যদি পড়ে যাও তাহলে তোমরা মাধ্যমিক পরীক্ষাতে 100 শতাংশ কমন পাওয়ার পাশাপাশি, যেকোনো প্রবন্ধ রচনা লিখে আসতে পারবে। সাজেশন রচনার নাম তো থাকবেই, তার সঙ্গে এই প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর এই পোস্টটির শেষে লিংক দেওয়া থাকবে।
মাধ্যমিক 2025 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন (Madhyamik 2025 Bengali Prabandha Rachana Suggestion)
তোমরা যদি খুব ভালোভাবে বিগত বছরের প্রশ্নগুলি লক্ষ্য করে থাকো, তাহলে তোমরা দেখতে পাবে যে প্রতিবছর বিজ্ঞান বিষয় অথবা পরিবেশ বিষয় থেকে একটা না একটা রচনা রয়েছে। সুতরাং তোমাদেরকে বিজ্ঞান বা পরিবেশ বিষয়ের একটি করে রচনা করে নিয়ে যেতে হবে। বিজ্ঞান বিষয় থেকে যে রচনাটি করতে হবে সেটি হল-
বিজ্ঞান ও কুসংস্কার (Bigyan O Kusanskar) ***
মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা **
পরবর্তী: মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা (বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চা) প্রবন্ধ রচনা
এবং পরিবেশ বিষয় থেকে যে রচনাটি করতে হবে সেটি হল-
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার (Paribesh Dushan O Tar Protikar) **
আর বর্তমানে নতুন প্রজন্ম বাড়ির বাইরে খেলাধুলা-শরীরচর্চা ছেড়ে দিয়ে কম্পিউটার, মোবাইলের দিকে আকর্ষিত হয়ে পড়ছে। সুতরাং, বাড়ির বাইরে মাঠে খেলাধুলা, শরীরচর্চা, ব্যায়াম এইসব কিভাবে মানুষের চরিত্রের উপর প্রভাব ফেলে? এই বিষয়েও একটি রচনা তোমাদেরকে মুখস্ত করে নিয়ে যেতে হবে। মুখস্থ না করলেও একটু ভালোভাবে পড়তে হবে। যেন তোমাকে পরীক্ষায় খাতার লেখার সময় বেশি ভাবতে না হয়। যেমন–
চরিত্র গঠনে খেলাধুলার বা শরীরচর্চার ভূমিকা (Charitra Gathane Kheladhular Bhumika) **
দেখে নাও: চরিত্র গঠনে খেলাধূলা প্রবন্ধ রচনা (সেরা পয়েন্ট করে)
আর বর্তমানে আরো একটি টপিকের রচনা খুব ভালো চলছে, সেটা হলো ‘আত্মকথা’ যেমন- তুমি কোথাও বেড়াতে গিয়েছো তার আত্মকথা, তুমি প্রথমবার কোন একটি যানবাহনে চড়ছো সে বিষয়ে তোমার অভিজ্ঞতা তুমি গ্রামের পুরনো বাড়ি ছেড়ে শহরের বসবাস করছো সেই বিষয়ে গ্রামের থাকার অভিজ্ঞতা এবং শহরে থাকার অভিজ্ঞতার বিষয়ে আত্মকথা, ঠিক এরকম।
আত্মকথা লেখার কোন সাজেশন হয় না। কারন আত্মকথা লেখার সময় তোমার নিজের মনের ভাব প্রকাশ হয় বা প্রকাশ করতে হয়। সুতরাং, এটা তোমাদেরকে নিজেদেরকে লিখতে হবে। সেখানে তোমরা বিভিন্ন পয়েন্ট এড করতে পারো। যেমন–
আত্মকথা (Atmakatha) ***
এছাড়াও বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষছেদন হচ্ছে। এতে বড় বড় অরণ্য এবং জঙ্গল শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব স্বরূপ বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে, সাথে পরিবেশ দূষণের পরিমাণও বাড়ছে। তাই প্রবন্ধ রচনা হিসেবে বৃক্ষরোপণ পরিবেশের জন্য এবং আমাদের বেঁচে থাকার জন্য কতটা জরুরী এবং বৃক্ষ রোপনের ফলে কিভাবে আমরা আমাদের পরিবেশকে বাঁচাতে পারি এই বিষয়ে একটি রচনা করে রাখা দরকার। যেমন–
পরিবেশ বাঁচানোর উদ্যোগ: বৃক্ষরোপণ (Briksharopan or Tree Plantation) *
আর তোমাদের যে বিষয়ে একটি রচনা করতে হবে, সেটি হলো পৃথিবীর জ্বলন্ত সমস্যা ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’। বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন-জনিত কারণে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বলতে গেলে পৃথিবীতে দুইটি ঋতু আবর্তিত হচ্ছে সেটি হল গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল। তার মধ্যে বেশিরভাগ গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল, এই গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা এত বেশি হচ্ছে যে, কোন কোন সময় বাড়ির বাইরে বেড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সুতরাং, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ কি? কিভাবে হচ্ছে? এর ফলে কি হতে পারে? অর্থাৎ প্রভাব এবং এর প্রতিকার কি? এ বিষয়ে রচনা লিখতে হবে। যেমন–
আমাদের পৃথিবীর জ্বলন্ত সমস্যা: বিশ্ব উষ্ণায়ন (Biswa Ushnayan or Global Warming) **
বিস্তারিত: বিশ্ব উষ্ণায়ন ও প্রতিকার প্রবন্ধ রচনা
এছাড়াও তোমাদের জন্য আর যে রচনাটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল ‘বাংলার উৎসব’ তোমরা সকলেই জানো যে, “বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ”, অর্থাৎ সারা বছর ধরেই বাঙালির উৎসব-আনন্দ লেগেই রয়েছে। সে উৎসবটা হতে পারে কোন পারিবারিক উৎসব, সাংস্কৃতিক উৎসব, রাষ্ট্রীয় উৎসব, জাতিগত বা ধর্মগত উৎসব ইত্যাদি। তাই এই বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করে রাখা দরকার–
বাংলার উৎসব (Banglar Utsab) ***
দেখে নাও: বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা (পয়েন্ট করে) বাঙালির উৎসব
Madhyamik Bangla Rochona Suggestion: গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস (মিস করবে না)
প্রবন্ধ রচনা কখনো কোন জায়গা থেকে মুখস্ত করে হুবহু লিখবে না। কারণ, একটি জায়গা থেকে শুধুমাত্র তুমি একাই নও, অনেক ছাত্রছাত্রী লিখছে। এক্ষেত্রে তোমাদের সবারই রচনা যদি একই হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তুমি কিভাবে বেশি নম্বর পাবে? সুতরাং, তোমরা একটি রচনাকে উদাহরণ হিসেবে খুব ভালো করে দেখে নিয়ে নিজেই বাড়িতে দু-একবার লেখার চেষ্টা করবে, তাও আবার নিজের ভাষাতে।
এক্ষেত্রে কি হবে, তোমার নম্বর বেশি পাওয়ার সুযোগ থাকে। অবশ্যই রচনা লেখার সময় দু-একটা ছড়া, ডাবল কোটেশন (” “) এসবের ব্যবহার করবে এবং মেইন মেইন পয়েন্টকে হাইলাইট করার চেষ্টা করবে। যাতে, যে স্যার তোমার খাতা দেখবেন তিনি সন্তুষ্টি বোধ করেন।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »