Madhyamik Pariksha Guardian Leave Update from WBBSE: সন্তান সন্ততি পালনের ক্ষেত্রে সন্তানের বাবা মায়ের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে, লালন পালন ও জীবনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলিতে বাবা মায়ের থেকে অদ্বিতীয় হয়ত আর কেউই থাকেনা। কিন্তু বাবা – মা চাকরিরত অবস্থায় সন্তানের ভরন শোষন কিছুটা হলেও চাপের বিষয় হয়ে দাড়ায়। আর এই কারনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারির তরফ থেকে প্রত্যেক চাকরিরত মা – বাবাকে “চাইল্ড কেয়ার লিভ” বা “পেটারনাল লিভ” এর অনুমোদন দেওয়া হবে।
WBBSE Madhyamik Pariksha 2024: পর্ষদের ছুটির ঘোষনার বিজ্ঞপ্তি
এই লিভ অন্যান্য সরকারী কর্মচারীরা পেলেও বর্তমানে শিক্ষক – শিক্ষাকর্মী মাতা – পিতারাও এই ছুটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই ছুটির আবেদন অন্তত তিনসপ্তাহ আগে থেকেই করতে হবে এবং সন্তানের পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য ও ডকুমেন্টসের কপি যেমন – অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষার রুটিন প্রমান হিসেবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিলেই মিলবে ছুটির অনুমোদন, সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে এমনই জানিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কতৃপক্ষ।
অবশ্য এবিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্বের বিষয় ছিল যে কেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা তাদের সন্তানসন্ততির মাধ্যমিকের মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার আগে ছুটি পাবেন না। অবশেষে সেই সংশয় দূর হল।সন্তানদের মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে সবথেকে বেশী ভুক্তভোগী হতে হয় কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। কাছেই এই ছুটির ঘোষনা করে অনেকক্ষেত্রেই চাকরিরত মা – বাবাদের সুবিধা হয়েছে।
তবে এই বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থী সন্তানের লিভের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, কোন পরীক্ষার্থী সন্তান অসুস্থ হলে ছুটি নিতে হলে বোর্ডের কাছে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি চেয়ে নিতে হবে। আর এই বিজ্ঞপ্তিতে নারাজ হয়ে সমালোচনার প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষক মহলে। সন্তান অসুস্থ থাকাকালীন সন্তানের মা বাবার ছুটির আবেদনে হস্তক্ষেপ করার কোনওরুপ অধিকার পর্ষদের নেই।
মিস করবেন না: Madhyamik Admit Card 2024: মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড কবে পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা? স্কুলে জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
ছুটি সম্পর্কিত শিক্ষকমহলের মন্তব্য
অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তে অনেক শিক্ষক – শিক্ষাকর্মীরা খুশি হলেও খুশি নন শিক্ষকমহলের একাংশ। তাদের মতে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয় সেকারনেই সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উপযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর প্রয়োজন।
সমস্ত স্কুলে বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী থাকা সত্বেও পরীক্ষার সময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের কারনে শিক্ষক কম পড়ে কাজেই পাশের বা অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক আনতে হয়। এই বিজ্ঞপ্তি পেশের পর অনেক শিক্ষকরাই পরীক্ষাকালীন ছুটির জন্য অনুপস্থিত থাকবেন সেক্ষেত্রে পরীক্ষা পরিচালনের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা যেতে পারে।
নতুন আপডেট দেখুন: Madhyamik 2024 New Update: পরীক্ষার হলে এবার ছিঁড়তে হবে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! জেনেনিন
বেসরকারী স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের দাবি
তবে সরকারি শিক্ষা দফতরে ক্ষেত্রে ছুটি মঞ্জুর করলেও বেসরকারী স্কুলগুলিতে ছুটির ভ্রুকুটুকুও পাওয়া যায় না। কলকাতার নামকরা এক বেসরকারী স্কুলের শিক্ষিকার বক্তব্য, সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি পাওয়া গেলেও বেসরকারী স্কুলগুলিতে বিশেষ অনুষ্ঠানে সামান্য ছুটির আবেদন করতে গেলেই কালঘাম ছোটে। এরপর মাতৃত্বকালীন বা সন্তানের পরীক্ষা বাবদ ছুটির জন্য আবেদন করতে গেলে চাকরি বজায় রাখাটাই একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে দাড়ায়।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://wbbse.wb.gov.in/
তাই শত সমস্যা সত্বেও বেসরকারী স্কুলে কর্মরত সন্তানের অভিভাবকেরা একপ্রকার বাধ্য হয়েও আসেন। এমতবস্থায়, সরকারি স্কুলগুলির মত কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে খুব বেশী না হলেও কিছুদিনের ছুটি মঞ্জুর করা হলেও অনেকক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী সন্তানদের অভিভাবকদের সুবিধা হয়।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »