Polytechnic Course in West Bengal: পলিটেকনিক কোর্স কি? মাধ্যমিক পাশে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, দেখে নাও

Polytechnic Course in West Bengal Admission Eligibility Job Opportunity

Polytechnic Course in West Bengal Admission Eligibility Job Opportunity: যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই এবং খুব তাড়াতাড়ি চাকরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই তাদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি কোর্স হল পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Polytechnic Course)। অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপারে আবার অনেকের কাছে হয়তো এটি নতুন। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

   

পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? কারা এই কোর্সটি করতে পারবে? কিভাবে আবেদন করবে (Polytechnic Course in West Bengal)? কোর্সের সময়কাল? কোর্স কমপ্লিট করতে কত টাকা খরচা হবে? কোর্স শেষে কিভাবে চাকরি পাবে? পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত সমস্ত কিছু তথ্য জানতে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পলিটেকনিক কোর্স কি? (Polytechnic Course in West Bengal)

পলিটেকনিক কোর্স হল একটি ডিপ্লোমা কোর্স। পলিটেকনিক হল ৩ বছরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। পলিটেকনিক কোর্স শেষ করার পর ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি অথবা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারে। এছাড়াও পড়ুয়ারা চাইলে পলিটেকনিক কোর্সের পর ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্র্যাজুয়েশন করতে পারে।

একনজরে পলিটেকনিক কোর্স

কোর্সপলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারি
কোর্সের মেয়াদ৩ বছর।
যোগ্যতান্যূনতম মাধ্যমিক পাস হলেই পড়ুয়ারা পলিটেকনিক কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।
ছেলে মেয়ে উভয়েই এই কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বয়সপলিটেকনিক করছে আবেদনের জন্য বয়সের কোনো সময়সীমা নেই।

ভর্তি হওয়ার জন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন (Polytechnic Admission Eligibility)

অনেকের মনে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে যেসকল পড়ুয়ারা সাইন্স বিভাগের শুধুমাত্র তারাই পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবে আর্টস এবং কমার্স এর ছাত্র-ছাত্রীরা পারবে না। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল (Polytechnic Course in West Bengal)।

  • পলিটেকনিক ভর্তি হওয়ার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা মাধ্যমিক পাস হওয়া প্রয়োজন।
  • মাধ্যমিকের শুধুমাত্র 35% নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হলে পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফাস্ট ডিভিশন (60% নম্বর) থাকা ভালো।

পলিটেকনিক কোর্সে আবেদনের জন্য বয়সের কোনো সময়সীমা নেই। মাধ্যমিকের পর যেকোনো বয়সের ছাত্রছাত্রীরা পলিটেকনিক কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারে।

পলিটেকনিক কোর্সের খরচা (Polytechnic Course Fees)

সরকারি পলিটেকনিক কলেজে (Govt. Polytechnic College) পড়লে খরচা অনেকটাই কম। বেশিরভাগটা তোমরা স্কলারশিপ থেকেই পেয়ে যাবে, শুধুমাত্র মেস বা হোস্টেলে থেকে থাকা খাবার খরচাটুকু লাগবে। আর বাড়ির কাছের পলিটেকনিক কলেজ পেলে তোমরা বাড়ি থেকে যাতায়াত করতে পারবে।

এবার যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন সরকারি বা বেসরকারি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় তাহলে কত টাকা খরচ হবে জেনে নেওয়া যাক।

প্রতিষ্ঠান ফি প্রতি মাসে
সরকারি কলেজ৫০ টাকা। হ্যাঁ একদম ঠিকই দেখছেন, এত কম খরচে পলিটেকনিক পড়া যায় সরকারি কলেজে।
বেসরকারি কলেজকাউন্সেলিং এর মাধ্যমে – 1,500/- টাকা।
ম্যানেজমেন্ট কোটা – 2,500/- টাকা।

পলিটেকনিক কোর্সের পর চাকরি

পলিটেকনিক কোর্সের পর ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারে। পলিটেকনিক কোর্সে তৃতীয় বর্ষ চলাকালীন বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিগুলো পলিটেকনিক পড়ুয়াদের ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে চাকরির জন্য নির্বাচন করে। অর্থাৎ কোর্স চলাকালীনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।

দেখে নিন: After HS Career Guide: উচ্চমাধ্যমিক পরবর্তী Free কেরিয়ার স্কলারশিপ গাইড! সুযোগ মিস করবেন না

সরকারি চাকরি (Govt Job with Polytechnic)

পলিটেকনিক কোর্স শেষে ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগে (ইলেকট্রিক অফিস), পঞ্চায়েত, PWD, ভারতীয় রেলে (Indian Railway) এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার কাজে যোগ দিতে পারে। পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র-ছাত্রীরা আইটিআই এবং ভোকেশনাল কলেজগুলিতে শিক্ষকতাও করতে পারে। পলিটেকনিক কোর্সের পর সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেলে বেতনের পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ এর মধ্যে হবে, এরপর বেতনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে কিন্তু বেতনের পরিমাণ চাকরির পদের উপর নির্ভর করবে।

বেসরকারি চাকরি (Private Company Job with Polytechnic)

পলিটেকনিক কোর্স শেষে ছাত্রছাত্রীরা দেশের বিভিন্ন বড় বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারে। ভালো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেতনের পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ এর মধ্যে হবে এরপর কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে বেতনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।

তো প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা এই ছিল পলিটেকনিক কোর্স অর্থাৎ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্সের সম্পূর্ণ তথ্য। পরবর্তীতে আমরা সেরা পলিটেকনিক কলেজ কোন পলিটেকনিক ব্রাঞ্চ নিয়ে তোমরা পড়বে? যেখানে কম্পিউটার থেকে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্ত কিছু রয়েছে তার বিস্তারিত আসতে চলেছে।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপটেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -

Join Group

Telegram