রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর। বিভিন্ন মিছিল বা আন্দোলন সংক্রান্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না ছাত্রছাত্রীরা! শিক্ষা বহির্ভূতভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্যেও বিদ্যালয় বহির্ভূত বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাঠানো হয়ে থাকে – তবে এবার সেই নিয়ে নোটিশ দিল জেলার শিক্ষা আধিকারিক। বিস্তারিত তুলে ধরবো আজকের প্রতিবেদনে –
বিদ্যালয় বহির্ভূত কর্মসূচিতে শিক্ষা দপ্তরের কড়া নিষেধাজ্ঞা
শিক্ষা বিভাগের এই তরফের নির্দেশ অনুসারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিকভাবে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য জেলাতেও আসবে বলে সূত্রে খবর। সংশ্লিষ্ট জেলার সকল প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের ব্যতীত অন্যান্য শিক্ষা বহির্ভূত ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ না নেয় সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আপনারা পোস্টের শেষে পেয়ে যাবেন, সেখানে কি বলা হয়েছে নিজেরাও দেখে নিতে পারেন।
কড়া সিদ্ধান্ত নেপথ্যের কারণ কি? আর জি কর!
অবশ্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনেও বিশেষ কারণ রয়েছে। সম্প্রতি আমরা আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক তরুণী চিকিৎসকের ধ*ণ এবং খু*র এক জলজ্যান্ত প্রমান পেয়েছি। বিভিন্ন রাজ্যের তরফ থেকে অর্থাৎ মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি ক্ষেত্রেই পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা এবং কর্মীবৃন্দ এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন।
আরো খবর: টিউশনি করলেই চাকরি বাতিল! শিক্ষকদের কড়া নির্দেশিকা দিল শিক্ষা সংসদ, দেখে নিন
শিক্ষক ও শিক্ষামহলের প্রতিক্রিয়া
আর সেই নিয়ে এই বিষয়ে তুমুল বিক্ষোভ লেগে রয়েছে। অবশ্য পরবর্তীতে নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং এরকম ঘটনা যাতে আর পুনরায় না ঘটে সেক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সতর্ক বাণী দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তেও রয়েছে একাধিক বিরোধিতা, শিক্ষা মহলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েও অসন্তোস প্রকাশ হয়েছে।
আরো পড়ুন: রাজ্যে শিক্ষকের অভাব, বন্ধের মুখে অধিকাংশ স্কুল! জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
তাছাড়া এই নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যেও বেশ মতবিরোধ দেখা দিয়েছে কেননা শুধুমাত্র নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন কার্যকলাপে অংশগ্রহণে বাধা দান রীতিমতই সমালোচনার বিষয়। যদিও এই বিতর্কে প্রত্যুত্তরে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে এখনো কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »