“বাঙ্গালা ভাষা” স্বামী বিবেকানন্দের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ, যেখানে তিনি বাংলা ভাষার গুরুত্ব, তার ভবিষ্যৎ এবং উন্নতির পথ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এই প্রবন্ধটি উচ্চমাধ্যমিক বাংলা তৃতীয় সেমিস্টার-এর অন্তর্ভুক্ত, যা WBCHSE (West Bengal Council of Higher Secondary Education)-এর নতুন সেমিস্টার প্যাটার্ন অনুযায়ী পাঠ্যভুক্ত।
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য MCQ প্রশ্ন-উত্তর গুরুত্বপূর্ণ, যা Objective Question Pattern অনুসরণ করে নতুন সেমিস্টার সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে। এই পোস্টে আমরা “বাঙ্গালা ভাষা – স্বামী বিবেকানন্দ” প্রবন্ধের উপর গুরুত্বপূর্ণ MCQ (Multiple Choice Questions) প্রশ্ন-উত্তর শেয়ার করছি, যা পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হবে।
“বাঙ্গালা ভাষা” – স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধটির মূল ভাব
স্বামী বিবেকানন্দ এই প্রবন্ধে বাংলা ভাষার প্রকৃত ভূমিকা ও শক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ভাষার আসল কাজ হলো মানুষের ভাব প্রকাশ করা। কিন্তু আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কৃত ভাষাকে বিদ্যার বাহন করা হয়েছিল, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা কঠিন ছিল। ফলে শিক্ষিত আর সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বড় দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তাই যাঁরা সত্যিকারের সমাজের উপকার করতে চেয়েছেন—যেমন বুদ্ধদেব, চৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ—তাঁরা সবসময় সাধারণ মানুষের ভাষায় কথা বলেছেন, যাতে সবাই তা সহজে বুঝতে পারে।
স্বামীজী মনে করেন, আমাদের ভাষা সহজ, প্রাণবন্ত এবং স্বাভাবিক হওয়া উচিত। তিনি কৃত্রিম ও দুর্বোধ্য ভাষার বিরোধিতা করেছেন। অনেক সময় আমরা সাধারণ ভাষায় চিন্তা করি, কথা বলি, কিন্তু লেখার সময় খুব কঠিন ভাষা ব্যবহার করি, যা অপ্রয়োজনীয়। তিনি বলেছেন, যে ভাষায় আমরা মনের ভাব প্রকাশ করি, রাগ-দুঃখ প্রকাশ করি, সেটাই প্রকৃত ভাষা। কারণ সেটাই সবচেয়ে শক্তিশালী, নমনীয় এবং প্রাণবন্ত।
তিনি বাংলা ভাষার বিভিন্ন রূপ নিয়ে বলেছেন যে, কলকাতার ভাষা ধীরে ধীরে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ছে, তাই সেটাই ভবিষ্যতে সবার ভাষা হয়ে উঠবে। তাই লিখিত ভাষাও হওয়া উচিত সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য, যাতে বিদ্যা শুধু শিক্ষিতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং সাধারণ মানুষও তা বুঝতে পারে।
স্বামীজী আরও দেখিয়েছেন যে, ভাষার মতোই আমাদের শিল্প, সংগীত ও স্থাপত্যও একসময় বাহ্যিক চাকচিক্যের কারণে প্রাণ হারিয়েছিল। ভাষা কঠিন হয়ে গিয়েছিল, গান বোঝার চেয়ে জটিল হয়ে উঠেছিল, আর শিল্পকলা অতিরিক্ত অলংকরণের কারণে তার আসল সৌন্দর্য হারিয়েছিল। তিনি মনে করেন, ভাষা বা শিল্প তখনই উন্নত হয়, যখন তা মানুষের অনুভূতি ও ভাব প্রকাশের উপযোগী হয়।
সুতরাং, স্বামী বিবেকানন্দ এই প্রবন্ধে বুঝিয়েছেন যে, ভাষার আসল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করা। ভাষা যদি খুব বেশি কঠিন হয়, তাহলে তা প্রাণহীন হয়ে পড়ে এবং তার কার্যকারিতা হারায়। তাই ভাষাকে সহজ, স্বাভাবিক ও শক্তিশালী হতে হবে, যাতে তা মানুষের জীবন ও চিন্তাকে এগিয়ে নিতে পারে।
বাঙ্গালা ভাষা – প্রবন্ধ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা তৃতীয় সেমিস্টার MCQ | বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
1. স্বামী বিবেকানন্দ কোন সালে আমেরিকা থেকে ‘উদ্বোধন’ পত্রিকায় এই চিঠি লেখেন?
(ক) ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (খ) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে
2. স্বামী বিবেকানন্দ কেন সাধারণ মানুষের ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার উপর জোর দেন?
(ক) কারণ কঠিন ভাষা সাধারণের জন্য দুর্বোধ্য
(খ) কারণ কঠিন ভাষা বেশি জনপ্রিয়
(গ) কারণ কটমট ভাষা বেশি গ্রহণযোগ্য
(ঘ) কারণ সংস্কৃত ভাষা সহজ
উত্তর: (ক) কারণ কঠিন ভাষা সাধারণের জন্য দুর্বোধ্য
3. কোন যুগ থেকে সংস্কৃতে সমস্ত বিদ্যা থাকার কারণে সাধারণ ও পণ্ডিতদের মধ্যে ব্যবধান তৈরি হয়েছে?
(ক) আধুনিক যুগ
(খ) মধ্যযুগ
(গ) প্রাচীন যুগ
(ঘ) ঔপনিবেশিক যুগ
উত্তর: (গ) প্রাচীন যুগ
4. স্বামীজির মতে, কোন ভাষায় কথা বলাই স্বাভাবিক?
(ক) কটমট ভাষা
(খ) চলিত ভাষা
(গ) সংস্কৃত ভাষা
(ঘ) ইংরেজি ভাষা
উত্তর: (খ) চলিত ভাষা
5. “স্বাভাবিক ভাষা ছেড়ে একটা অস্বাভাবিক ভাষা তৈরী করে কি হবে?” – স্বামীজির এই উক্তির মূল ভাব কী?
(ক) কঠিন ভাষার গুরুত্ব বেশি
(খ) সাধারণ ভাষার মধ্যেই প্রকৃত শক্তি
(গ) কল্পিত ভাষার প্রচলন দরকার
(ঘ) সংস্কৃত ভাষাই শ্রেষ্ঠ
উত্তর: (খ) সাধারণ ভাষার মধ্যেই প্রকৃত শক্তি
6. স্বামীজির মতে, ভাষার কী গুণ থাকা উচিত?
(ক) যত কঠিন, তত ভালো
(খ) শক্তিশালী ও সহজ
(গ) পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী
(ঘ) শুধুমাত্র পণ্ডিতদের জন্য উপযোগী
উত্তর: (খ) শক্তিশালী ও সহজ
7. স্বামীজির মতে, ভাষাকে কিসের মতো হতে হবে?
(ক) লোহার রড
(খ) ইস্পাত
(গ) সোনার চেন
(ঘ) ব্রোঞ্জ
উত্তর: (খ) ইস্পাত
8. স্বামী বিবেকানন্দ কিসের মাধ্যমে ভাষার পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন?
(ক) শিক্ষার প্রসার
(খ) রেল ও যোগাযোগের উন্নতি
(গ) সংস্কৃত চর্চার বৃদ্ধি
(ঘ) কঠিন ভাষার ব্যবহার
উত্তর: (খ) রেল ও যোগাযোগের উন্নতি
9. স্বামীজির মতে, কোন অঞ্চলের ভাষা ধীরে ধীরে সমগ্র বাংলা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে?
(ক) ঢাকা
(খ) কলকাতা
(গ) চট্টগ্রাম
(ঘ) কুমিল্লা
উত্তর: (খ) কলকাতা
10. স্বামীজির মতে, ভাষার প্রধান কাজ কী?
(ক) কঠিন হওয়া
(খ) ভাব প্রকাশ করা
(গ) সংস্কৃতময় হওয়া
(ঘ) রীতিনীতির অনুসরণ করা
উত্তর: (খ) ভাব প্রকাশ করা
11. স্বামী বিবেকানন্দ কারা ‘লোকহিতায়’ এসেছেন বলে উল্লেখ করেছেন?
(ক) মহাভারতের ঋষিরা
(খ) বুদ্ধ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ
(গ) ইংরেজরা
(ঘ) মুসলিম শাসকেরা
উত্তর: (খ) বুদ্ধ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ
12. স্বামীজির মতে, ভাষার উন্নতি কীসের লক্ষণ?
(ক) জাতীয় উন্নতির
(খ) কৃত্রিমতার
(গ) বিদেশি প্রভাবের
(ঘ) ধর্মীয় চিন্তার
উত্তর: (ক) জাতীয় উন্নতির
13. স্বামীজির মতে, কোন ভাষা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠছে?
(ক) পূর্ববঙ্গের ভাষা
(খ) পশ্চিমবঙ্গের ভাষা
(গ) কলকাতার ভাষা
(ঘ) সংস্কৃত ভাষা
উত্তর: (গ) কলকাতার ভাষা
14. কোন উপায়ে পূর্ব-পশ্চিম বাংলার ভাষার ব্যবধান দূর হবে?
(ক) ভাষা পরিবর্তনের মাধ্যমে
(খ) সংস্কৃত ভাষার প্রচার বাড়িয়ে
(গ) রেল এবং গতাগতির সুবিধার মাধ্যমে
(ঘ) বিদেশি ভাষার সাহায্যে
উত্তর: (গ) রেল এবং গতাগতির সুবিধার মাধ্যমে
15. স্বামীজির মতে, ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
(ক) কঠিন ও দুর্বোধ্য
(খ) সহজ ও প্রাণবন্ত
(গ) সংস্কৃতময়
(ঘ) শুধুমাত্র পণ্ডিতদের জন্য উপযুক্ত
উত্তর: (খ) সহজ ও প্রাণবন্ত
16. স্বামীজির মতে, ভাষার কাজ কী?
(ক) চিন্তার বাহক হওয়া
(খ) সংস্কৃত ভাষাকে টিকিয়ে রাখা
(গ) সাহিত্য রচনা করা
(ঘ) শুধুমাত্র শিক্ষিতদের জন্য ব্যবহার হওয়া
উত্তর: (ক) চিন্তার বাহক হওয়া
17. স্বামীজির মতে, কোনটি ভাষার স্বাভাবিক বিকাশের অন্তরায়?
(ক) পণ্ডিতদের কঠিন ভাষা
(খ) সাধারণ মানুষের ভাষা
(গ) কলকাতার ভাষা
(ঘ) বিদেশি ভাষার প্রভাব
উত্তর: (ক) পণ্ডিতদের কঠিন ভাষা
18. স্বামীজির মতে, ভাষাকে কীসের মতো হতে হবে যাতে সেটি মজবুত হয়?
(ক) কাঠ
(খ) ইস্পাত
(গ) রূপো
(ঘ) স্বর্ণ
উত্তর: (খ) ইস্পাত
19. স্বামীজির মতে, ভাষার বিকাশ কীসের মাধ্যমে সম্ভব?
(ক) কটমট ভাষার প্রচার
(খ) চলিত ভাষার প্রসার
(গ) সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার
(ঘ) বিদেশি ভাষার গ্রহণযোগ্যতা
উত্তর: (খ) চলিত ভাষার প্রসার
20. স্বামীজির মতে, ভাষার শক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী?
(ক) কঠিন শব্দের ব্যবহার
(খ) স্বাভাবিকতা ও সরলতা
(গ) সংস্কৃত শব্দের আধিক্য
(ঘ) বিদেশি শব্দের সংমিশ্রণ
উত্তর: (খ) স্বাভাবিকতা ও সরলতা
21. স্বামীজির মতে, পুস্তকের ভাষা ও কথ্য ভাষা এক করতে হলে কোন ভাষাকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা উচিত?
(ক) চট্টগ্রামের ভাষা
(খ) কলকাতার ভাষা
(গ) পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক ভাষা
(ঘ) পূর্ববঙ্গের ভাষা
উত্তর: (খ) কলকাতার ভাষা
22. স্বামীজির মতে, ভাষা ভাবের কী?
(ক) শত্রু
(খ) বাহক
(গ) প্রতিবন্ধক
(ঘ) বিকল্প
উত্তর: (খ) বাহক
23. স্বামীজি কেন সংস্কৃত ভাষার অতিরিক্ত ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন?
(ক) সংস্কৃত ভাষা দুর্বোধ্য বলে
(খ) সংস্কৃত ভাষা পুরনো হয়ে গেছে বলে
(গ) সংস্কৃত ভাষা সাধারণের ভাষা নয় বলে
(ঘ) সংস্কৃত ভাষার শব্দ কঠিন বলে
উত্তর: (গ) সংস্কৃত ভাষা সাধারণের ভাষা নয় বলে
24. স্বামীজির মতে, কোন ভাষা পরিত্যাগ করলে জাতীয় জীবনে উন্নতি আসবে?
(ক) চলিত ভাষা
(খ) সংস্কৃতমিশ্রিত দুর্বোধ্য ভাষা
(গ) ইংরেজি ভাষা
(ঘ) আঞ্চলিক ভাষা
উত্তর: (খ) সংস্কৃতমিশ্রিত দুর্বোধ্য ভাষা
25. স্বামীজি ভাষাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
(ক) তলোয়ার
(খ) ইস্পাত
(গ) আগুন
(ঘ) হীরক
উত্তর: (খ) ইস্পাত
26. স্বামীজির মতে, ভাষাকে কোন গুণগুলো থাকতে হবে?
(ক) কঠিন ও দুর্বোধ্য
(খ) সহজ, শক্তিশালী, সংক্ষিপ্ত
(গ) পুরাতন ও কটমট
(ঘ) শুধুমাত্র শিক্ষিতদের উপযোগী
উত্তর: (খ) সহজ, শক্তিশালী, সংক্ষিপ্ত
27. স্বামীজির মতে, কৃত্রিম ভাষার কী হবে?
(ক) সেটি জনপ্রিয় হবে
(খ) সেটি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হবে
(গ) সেটি সবার ভাষা হয়ে যাবে
(ঘ) সেটি শিক্ষিতদের জন্য প্রয়োজনীয়
উত্তর: (খ) সেটি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হবে
28. স্বামীজির মতে, কলকাতার ভাষা কেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে?
(ক) এটি শিক্ষিতদের ভাষা
(খ) এটি প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল
(গ) এটি সংস্কৃতের কাছাকাছি
(ঘ) এটি কঠিন ও দুর্বোধ্য
উত্তর: (খ) এটি প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল
29. স্বামীজির মতে, ভাষার সাথে আর কী পরিবর্তন হয়?
(ক) মানুষের জীবনযাত্রা
(খ) ধর্মীয় অনুশাসন
(গ) শাস্ত্রের প্রভাব
(ঘ) সমাজব্যবস্থা
উত্তর: (ঘ) সমাজব্যবস্থা
30. স্বামীজির মতে, ভাষা ও চিন্তার মধ্যে কী সম্পর্ক?
(ক) ভাষা চিন্তার বাহক
(খ) ভাষা ও চিন্তা আলাদা বিষয়
(গ) চিন্তার জন্য ভাষা প্রয়োজন হয় না
(ঘ) ভাষা চিন্তার প্রতিবন্ধক
উত্তর: (ক) ভাষা চিন্তার বাহক
31. সংস্কৃত ভাষার কৃত্রিম ব্যবহার সম্পর্কে স্বামীজি কী বলেছেন?
(ক) এটি ভাষার উন্নতি ঘটায়
(খ) এটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী
(গ) এটি ভাষাকে দুর্বোধ্য করে তোলে
(ঘ) এটি ভাব প্রকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
উত্তর: (গ) এটি ভাষাকে দুর্বোধ্য করে তোলে
32. স্বামীজির মতে, ভাষাকে কীভাবে ব্যবহার করা উচিত?
(ক) সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে
(খ) কঠিন শব্দে সমৃদ্ধ করে
(গ) সংস্কৃতের মতো গঠন করে
(ঘ) শুধুমাত্র শিক্ষিতদের জন্য উপযোগী করে
উত্তর: (ক) সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে
33. কোন শাস্ত্রের ভাষা স্বাভাবিক ছিল বলে স্বামীজি উল্লেখ করেছেন?
(ক) মীমাংসা ভাষ্য
(খ) বেদ
(গ) রামায়ণ
(ঘ) মহাভারত
উত্তর: (ক) মীমাংসা ভাষ্য
34. স্বামীজির মতে, ভাষার মূল উদ্দেশ্য কী?
(ক) সাহিত্য সৃষ্টি
(খ) ভাব প্রকাশ
(গ) কঠিন শব্দ শেখানো
(ঘ) সংস্কৃত প্রচার করা
উত্তর: (খ) ভাব প্রকাশ
35. কোন ভাষার বিবর্তন দেখে স্বামীজি মন্তব্য করেছেন যে, ভাষা জীবন্ত থাকলে তার স্বাভাবিক রূপ থাকে?
(ক) সংস্কৃত
(খ) বাংলা
(গ) ইংরেজি
(ঘ) ফরাসি
উত্তর: (ক) সংস্কৃত
36. স্বামীজি কীসের মাধ্যমে ভাষার পরিবর্তন লক্ষ করেছেন?
(ক) গ্রাম্য ভাষার প্রচারের মাধ্যমে
(খ) সংস্কৃত ভাষার বিলুপ্তির মাধ্যমে
(গ) সাধারণ মানুষের ভাষার মাধ্যমে
(ঘ) ইংরেজির প্রভাবে
উত্তর: (গ) সাধারণ মানুষের ভাষার মাধ্যমে
37. সংস্কৃত ভাষার কোন যুগের রচনা বেশি সহজবোধ্য ছিল?
(ক) প্রাচীন
(খ) মধ্যযুগের
(গ) আধুনিক
(ঘ) ব্রিটিশ আমলের
উত্তর: (ক) প্রাচীন
38. স্বামীজি ভাষার কোন বৈশিষ্ট্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন?
(ক) স্বাভাবিকতা ও শক্তিশালী হওয়া
(খ) কঠিনতা
(গ) আঞ্চলিকতা
(ঘ) বিদেশি শব্দের সংমিশ্রণ
উত্তর: (ক) স্বাভাবিকতা ও শক্তিশালী হওয়া
39. স্বামীজির মতে, ভাষা কোন কালে সবচেয়ে প্রাণবন্ত থাকে?
(ক) যখন জাতির শক্তি থাকে
(খ) যখন ভাষা কঠিন হয়
(গ) যখন বিদেশি ভাষার প্রভাব থাকে
(ঘ) যখন শুধুমাত্র পণ্ডিতরা ভাষা ব্যবহার করে
উত্তর: (ক) যখন জাতির শক্তি থাকে
40. স্বামীজির মতে, ভাষা কীসের মতো হওয়া উচিত?
(ক) কাঠ
(খ) জল
(গ) ইস্পাত
(ঘ) বালি
উত্তর: (গ) ইস্পাত
41. স্বামীজির মতে, ভাষার মাধ্যমে কোনটি প্রকাশ করা যায়?
(ক) কেবল সাহিত্য
(খ) শুধু বিজ্ঞান
(গ) ভাব ও সংস্কৃতি
(ঘ) আঞ্চলিকতা
উত্তর: (গ) ভাব ও সংস্কৃতি
42. স্বামীজি কোন ধরনের ভাষার সমর্থক ছিলেন?
(ক) দুর্বোধ্য ভাষা
(খ) সাধারণ মানুষের ভাষা
(গ) কেবল সংস্কৃত ভাষা
(ঘ) কেবল ইংরেজি ভাষা
উত্তর: (খ) সাধারণ মানুষের ভাষা
43. স্বামীজির মতে, ভাষা কীভাবে গঠিত হওয়া উচিত?
(ক) জটিল ও কঠিন শব্দ দিয়ে
(খ) সাধারণ ও শক্তিশালী ভাবে
(গ) কেবল শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে
(ঘ) বিদেশি ভাষার সংমিশ্রণে
উত্তর: (খ) সাধারণ ও শক্তিশালী ভাবে
44. স্বামীজি ভাষার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন?
(ক) ভাষা পরিবর্তিত ও সরল হবে
(খ) ভাষা আগের মতোই থাকবে
(গ) ভাষা আরও কঠিন হয়ে যাবে
(ঘ) ভাষার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে
উত্তর: (ক) ভাষা পরিবর্তিত ও সরল হবে
45. স্বামীজির মতে, ভাষার সরলীকরণের মাধ্যমে কী অর্জিত হবে?
(ক) জাতীয় ঐক্য
(খ) সাহিত্যিক সমৃদ্ধি
(গ) ধর্মীয় অনুশাসন
(ঘ) শুধুমাত্র শিক্ষিতদের সুবিধা
উত্তর: (ক) জাতীয় ঐক্য
46. স্বামীজির মতে, কৃত্রিম ভাষা কীভাবে প্রভাব ফেলে?
(ক) এটি ভাষার উন্নতি ঘটায়
(খ) এটি ভাব প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করে
(গ) এটি জাতির ঐক্য বৃদ্ধি করে
(ঘ) এটি সাধারণ মানুষের ভাষা হয়ে যায়
উত্তর: (খ) এটি ভাব প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করে
47. স্বামীজির মতে, ভাষার সরলীকরণ কেন দরকার?
(ক) শুধুমাত্র শিক্ষিতদের জন্য
(খ) সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে
(গ) বিদেশিদের শেখার জন্য
(ঘ) আঞ্চলিক ভাষা সংরক্ষণের জন্য
উত্তর: (খ) সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে
48. স্বামীজি ভাষার পরিবর্তনের সাথে কোন কিছুর তুলনা করেছেন?
(ক) নদীর প্রবাহের সাথে
(খ) পাথরের দৃঢ়তার সাথে
(গ) পুরনো ভবনের সাথে
(ঘ) সমুদ্রের গভীরতার সাথে
উত্তর: (ক) নদীর প্রবাহের সাথে
49. স্বামীজির মতে, ভাষার সবচেয়ে বড় গুণ কী হওয়া উচিত?
(ক) সংস্কৃত ভাষার কাছাকাছি হওয়া
(খ) সহজ ও বোধগম্য হওয়া
(গ) কঠিন শব্দে সমৃদ্ধ হওয়া
(ঘ) কেবল সাহিত্য রচনার উপযোগী হওয়া
উত্তর: (খ) সহজ ও বোধগম্য হওয়া
50. স্বামীজির ভাষা সংক্রান্ত ভাবনার মূল লক্ষ্য কী ছিল?
(ক) ভাষার উন্নতি ঘটানো
(খ) জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা
(গ) কেবলমাত্র শিক্ষিতদের জন্য ভাষা তৈরি করা
(ঘ) বিদেশি ভাষার প্রচার করা
উত্তর: (খ) জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা
স্বামী বিবেকানন্দের “বাঙ্গালা ভাষা” প্রবন্ধ আমাদের ভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। WBCHSE উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য, যা MCQ প্রশ্নের মাধ্যমে সহজে অনুশীলন করা সম্ভব।
এই পোস্টে শেয়ার করা MCQ প্রশ্ন-উত্তর পরীক্ষার্থীদের সঠিক প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে এবং নতুন সেমিস্টার প্যাটার্ন অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য উপযোগী হবে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম Study গ্রুপে যুক্ত হোন -