নবনীতা দেবসেনের ‘দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা’ কবিতাটি এক আত্মপ্রত্যয়ী যাত্রার প্রতিচিত্র। কবি এখানে পৌরাণিক উপমা ব্যবহার করে এক যুবক বা যুবতীর আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে তুলে ধরেছেন। সমাজের বাধা-বিপত্তির বিরুদ্ধে কেবল বাহ্যিক অস্ত্র নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি নিয়ে এগিয়ে চলে, এই এক অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দিয়েছেন।
দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা – নবনীতা দেবসেন (মূল কবিতা)
রক্তে আমি রাজপুত্র। হলেনই বা দুঃখিনী জননী,
দ্বিগ্বিজয়ে যেতে হবে। দুয়োরাণী দিলেন সাজিয়ে।
কবচকুণ্ডল নেই, ধনুক তূণীর, শিরস্ত্রাণ
কিছুই ছিল না। শুধু আশীর্বাদী দুটি সরঞ্জাম।
এক : এই জাদু-অশ্ব। মরুপথে সেই হয় উট।
আকাশে পূষ্পক আর সপ্তডিঙ্গা সাজে সিন্ধু জলে,
তেপান্তরের পক্ষীরাজ। তার নাম রেখেছি : ‘বিশ্বাস’।
দুই : এই হৃদয়ের খাপে ভরা মন্ত্রপূতঃ অসি
শানিত ইস্পাত খন্ড। অভঙ্গুর। নাম : ‘ভালোবাসা’
নিশ্চিত পৌঁছুবো সেই তৃষ্ণাহর খর্জুরের দ্বীপে।।
দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা – সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা
আমি এক সাহসী রাজপুত্র, জন্মগতভাবেই আমার রক্তে বীরত্ব রয়েছে। আমার মা হয়তো অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন, কিন্তু তাও আমাকে পৃথিবী জয় করতে হবে। যুদ্ধযাত্রার আগে আমার সৎমা আমাকে সাজিয়ে দিলেন, কিন্তু আমার কাছে যুদ্ধের জন্য দরকারি কোনো অস্ত্র নেই। নেই কবচ-কুণ্ডল (যা শরীরকে রক্ষা করে), নেই ধনুক-তূণীর (যার সাহায্যে যুদ্ধ করা হয়), নেই শিরস্ত্রাণ (যা মাথা রক্ষা করে)। আমার একমাত্র সম্বল মা-এর দেওয়া দুটি আশীর্বাদ।
🔹 প্রথম আশীর্বাদ: ‘বিশ্বাস’
কবিতায় প্রথম আশীর্বাদ হিসেবে দেখানো হয়েছে “বিশ্বাস”, যা যাত্রাপথে প্রধান অবলম্বন। কবি এখানে বিশ্বাসকে জাদু-অশ্ব (একটি অলৌকিক ঘোড়া)-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রূপ নেয়।
মরুভূমিতে এটি উট হয়ে ওঠে, আকাশে এটি পুষ্পক বিমান হয়ে উড়ে যায়, আর সমুদ্র পেরোতে এটি সপ্তডিঙ্গা (একটি শক্তিশালী নৌযান)-এর রূপ নেয়। অর্থাৎ, বিশ্বাস মানুষের চলার পথে প্রতিটি বাধা পেরিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়। জীবনে আত্মবিশ্বাসই তার সত্যিকারের বাহন, যা তাকে যেকোনো প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সাহায্য করে।
🔹 দ্বিতীয় আশীর্বাদ: ‘ভালোবাসা’
কবিতায় দ্বিতীয় আশীর্বাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে “ভালোবাসা”, যা হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক শক্তিশালী অস্ত্র। কবি একে “মন্ত্রপূতঃ অসি” (একটি পবিত্র ও শক্তিশালী তলোয়ার)-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা শানিত ইস্পাতের মতো কঠিন এবং ভাঙার অযোগ্য (অভঙ্গুর)।
এটি বোঝায় যে, ভালোবাসার শক্তি অত্যন্ত দৃঢ় ও অপরাজেয়। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো হারায় না, বরং তা যেকোনো কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
কবিতার মূল ভাব:
কবিতায় নবনীতা দেবসেন জীবনের লড়াইকে উপস্থাপন করতে গিয়ে দেখিয়েছেন যে, বাহ্যিক শক্তির চেয়ে আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় শক্তি। নিজের মনোবল এবং ভালোবাসার শক্তি দিয়ে জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হতে পারে। তাই এই দুটি আশীর্বাদ—বিশ্বাস ও ভালোবাসা— এগিয়ে চলার মূল চালিকাশক্তি।
‘দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা’ – নবনীতা দেবসেন (MCQ প্রশ্ন ও উত্তর)
‘দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা’ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
১. কবিতার বক্তা নিজেকে কী হিসেবে উল্লেখ করেছেন?
(ক) রাজপুত্র
(খ) রাজা
(গ) মহারাজ
(ঘ) যোদ্ধা
✅ উত্তর: (ক) রাজপুত্র
২. ‘দ্বিগ্বিজয়ে যেতে হবে’ – এখানে ‘দ্বিগ্বিজয়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) যুদ্ধ জয়
(খ) আত্মশক্তির বিকাশ
(গ) অন্য দেশ জয়
(ঘ) সাগর বিজয়
✅ উত্তর: (খ) আত্মশক্তির বিকাশ
৩. বক্তার মা কেমন ছিলেন?
(ক) দুঃখিনী
(খ) শক্তিশালী
(গ) রাজরানী
(ঘ) নির্দয়
✅ উত্তর: (ক) দুঃখিনী
৪. ‘দুয়োরাণী দিলেন সাজিয়ে’ – এখানে ‘দুয়োরাণী’ কাকে বোঝানো হয়েছে?
(ক) রাজ্যের রানী
(খ) রাজপুত্রের মা
(গ) গৃহকর্ত্রী
(ঘ) শিক্ষিকা
✅ উত্তর: (খ) রাজপুত্রের মা
“দুয়োরানী” মূলত বাংলা লোককথা ও রূপকথার একটি পরিচিত চরিত্র, যেখানে তিনি সাধারণত অবহেলিত, বঞ্চিত, কিন্তু পরবর্তীতে সৌভাগ্যবতী নারীর প্রতীক হিসেবে চিত্রিত হন।
৫. কবিতায় বক্তার কাছে কোন অস্ত্র ছিল না?
(ক) ধনুক
(খ) তূণীর
(গ) শিরস্ত্রাণ
(ঘ) উপরের সবকটি
✅ উত্তর: (ঘ) উপরের সবকটি
৬. কবিতায় বক্তার কাছে কী ছিল?
(ক) দুইটি আশীর্বাদ
(খ) রাজ্য সম্পত্তি
(গ) সেনাবাহিনী
(ঘ) স্বর্ণমুকুট
✅ উত্তর: (ক) দুইটি আশীর্বাদ
৭. কবিতায় প্রথম আশীর্বাদ কী ছিল?
(ক) শক্তি
(খ) জাদু-অশ্ব
(গ) রাজ্য
(ঘ) ধনসম্পদ
✅ উত্তর: (খ) জাদু-অশ্ব
৮. ‘জাদু-অশ্ব’ কী কী রূপ নিতে পারে?
(ক) মরুপথে উট
(খ) আকাশে পুষ্পক
(গ) সমুদ্রে সপ্তডিঙ্গা
(ঘ) উপরের সবকটি
✅ উত্তর: (ঘ) উপরের সবকটি
৯. ‘বিশ্বাস’ শব্দটি কবিতায় কী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে?
(ক) আশীর্বাদ
(খ) অস্ত্র
(গ) প্রতীক
(ঘ) সেতু
✅ উত্তর: (ক) আশীর্বাদ
১০. কবিতায় দ্বিতীয় আশীর্বাদ কী ছিল?
(ক) মন্ত্রপূতঃ অসি
(খ) মন্ত্রপূতঃ ধনুক
(গ) কবজ কুণ্ডল
(ঘ) ত্রিশূল
✅ উত্তর: (ক) মন্ত্রপূতঃ অসি (তরবারি)
১১. ‘ভালোবাসা’ কী রূপ ধারণ করেছে?
(ক) তলোয়ার
(খ) রাজদণ্ড
(গ) কৃপাণ
(ঘ) বন্দুক
✅ উত্তর: (ক) তলোয়ার
১২. ‘মন্ত্রপূতঃ অসি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) শক্তিশালী অস্ত্র
(খ) একটি রাজদণ্ড
(গ) যুদ্ধের ধ্বনি
(ঘ) যুদ্ধের নীতি
✅ উত্তর: (ক) শক্তিশালী অস্ত্র
১৩. ‘শানিত ইস্পাত খন্ড’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) ভালোবাসার দৃঢ়তা
(খ) শক্তিশালী তরবারি
(গ) যুদ্ধের প্রতীক
(ঘ) স্বাধীনতা
✅ উত্তর: (ক) ভালোবাসার দৃঢ়তা
১৪. বক্তা কোথায় পৌঁছানোর কথা বলেছেন?
(ক) তৃষ্ণাহর খর্জুরের দ্বীপে
(খ) রাজপ্রাসাদে
(গ) যুদ্ধক্ষেত্রে
(ঘ) বিজয় মঞ্চে
✅ উত্তর: (ক) তৃষ্ণাহর খর্জুরের দ্বীপে
১৫. ‘দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা’ কবিতার কবি কে?
(ক) জীবনানন্দ দাশ
(খ) সুকান্ত ভট্টাচার্য
(গ) নবনীতা দেবসেন
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ উত্তর: (গ) নবনীতা দেবসেন
১৬. ‘তৃষ্ণাহর খর্জুরের দ্বীপ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) মরুদ্বীপ
(খ) এক অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো
(গ) রাজ্যজয়
(ঘ) মায়ার জগৎ
✅ উত্তর: (খ) এক অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো
১৭. কবিতায় ‘কবচকুণ্ডল নেই’ – এর অর্থ কী?
(ক) কোনো রক্ষাকবচ নেই
(খ) সম্পদশালী ব্যক্তি
(গ) অসীম শক্তিধর
(ঘ) বীরত্বের প্রতীক
✅ উত্তর: (ক) কোনো রক্ষাকবচ নেই
১৮. কবিতার বক্তা কীসের ওপর নির্ভরশীল?
(ক) শক্তি ও অস্ত্র
(খ) বিশ্বাস ও ভালোবাসা
(গ) রাজ্যের শক্তি
(ঘ) সৈন্যবাহিনী
✅ উত্তর: (ব) বিশ্বাস ও ভালোবাসা
১৯. কবিতার বক্তার যাত্রা কেমন?
(ক) সহজ
(খ) কঠিন
(গ) অলৌকিক
(ঘ) অবাস্তব
✅ উত্তর: (খ) কঠিন
২০. কবিতার কেন্দ্রীয় ভাব কী?
(ক) যুদ্ধজয়
(খ) আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি
(গ) ক্ষমতার লড়াই
(ঘ) প্রতিশোধ
✅ উত্তর: (খ) আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি
২১. ‘সপ্তডিঙ্গা’ কোন পরিবহনের প্রতীক?
(ক) স্থল পরিবহন
(খ) জলযান
(গ) আকাশযান
(ঘ) মরু পরিবহন
✅ উত্তর: (খ) জলযান
২২. ‘বিশ্বাস’ শব্দটি কী প্রকাশ করে?
(ক) আধ্যাত্মিক শক্তি
(খ) ব্যক্তিগত অস্ত্র
(গ) অজানা পথ
(ঘ) সমাজের স্বীকৃতি
✅ উত্তর: (ক) আধ্যাত্মিক শক্তি
২৩. কবিতার বক্তা কীভাবে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়?
(ক) অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে
(খ) রাজ্য শক্তির মাধ্যমে
(গ) বিশ্বাস ও ভালোবাসার মাধ্যমে
(ঘ) প্রতারণার মাধ্যমে
✅ উত্তর: (গ) বিশ্বাস ও ভালোবাসার মাধ্যমে
২৪. ‘অভঙ্গুর’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) ভঙ্গুর
(খ) অটুট
(গ) ভয়ঙ্কর
(ঘ) নরম
✅ উত্তর: (খ) অটুট
২৫. ‘মরুপথে সেই হয় উট’ – এখানে ‘উট’ কী বোঝায়?
(ক) ধৈর্য ও সহনশীলতা
(খ) ক্ষমতা
(গ) যুদ্ধের প্রতীক
(ঘ) দ্রুতগামীতা
✅ উত্তর: (ক) ধৈর্য ও সহনশীলতা
২৬. কবিতার ভাষা কেমন?
(ক) অলঙ্কারপূর্ণ
(খ) রুক্ষ
(গ) জটিল
(ঘ) সংক্ষিপ্ত
✅ উত্তর: (ক) অলঙ্কারপূর্ণ
২৭. ‘শিরস্ত্রাণ’ কী?
(ক) মাথার রক্ষাকবচ
(খ) যুদ্ধের পোশাক
(গ) তরবারি
(ঘ) জাদু-অশ্ব
✅ উত্তর: (ক) মাথার রক্ষাকবচ
২৮. ‘জাদু-অশ্ব’ আসলে কী বোঝায়?
(ক) আত্মবিশ্বাস
(খ) সত্যিকারের ঘোড়া
(গ) রাজার দান
(ঘ) সৈন্যবাহিনী
✅ উত্তর: (ক) আত্মবিশ্বাস
২৯. কবিতায় কোন অলংকার ব্যবহৃত হয়েছে?
(ক) উপমা
(খ) রূপক
(গ) উৎপ্রেক্ষা
(ঘ) উপরের সবকটি
✅ উত্তর: (ঘ) উপরের সবকটি
৩০. কবিতার বক্তা নিজেকে কী ভাবেন?
(ক) রাজপুত্র
(খ) সাধারণ মানুষ
(গ) দুর্বল ব্যক্তি
(ঘ) অযোগ্য ব্যক্তি
✅ উত্তর: (ক) রাজপুত্র
৩১. ‘মন্ত্রপূতঃ অসি’ শব্দবন্ধটি কী প্রকাশ করে?
(ক) আত্মবিশ্বাস
(খ) যুদ্ধের শক্তি
(গ) অভিশাপ
(ঘ) জয়
✅ উত্তর: (ক) আত্মবিশ্বাস
৩২. ‘বিশ্বাস’ এখানে কোন অলংকারের উদাহরণ?
(ক) উপমা
(খ) রূপক
(গ) উৎপ্রেক্ষা
(ঘ) বিরোধ
✅ উত্তর: (খ) রূপক
৩৩. কবিতার শিক্ষণীয় দিক কী?
(ক) আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি
(খ) রাজ্য জয়ের গুরুত্ব
(গ) যুদ্ধই শ্রেষ্ঠ উপায়
(ঘ) ক্ষমতা সবকিছু
✅ উত্তর: (ক) আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি
৩৪. কবিতার বক্তার প্রতীকী অস্ত্র কী?
(ক) ভালোবাসা
(খ) বিদ্যা
(গ) ধনসম্পদ
(ঘ) শক্তি
✅ উত্তর: (ক) ভালোবাসা
৩৫. ‘খর্জুরের দ্বীপ’ কী প্রকাশ করে?
(ক) পরিত্রাণ ও সাফল্য
(খ) মরুর প্রান্ত
(গ) যুদ্ধের ময়দান
(ঘ) শান্তির দেশ
✅ উত্তর: (ক) পরিত্রাণ ও সাফল্য (লক্ষ্যে পৌঁছানো)
৩৬. কবিতার প্রধান বার্তা কী?
(ক) ভালোবাসা ও বিশ্বাসের শক্তি
(খ) যুদ্ধের মহিমা
(গ) রাজ্য দখল
(ঘ) পরাজয়
✅ উত্তর: (ক) ভালোবাসা ও বিশ্বাসের শক্তি
৩৭. কবিতাটি কোন ছন্দে লেখা?
(ক) গদ্যছন্দ
(খ) মাত্রাবৃত্ত
(গ) স্বরবৃত্ত
(ঘ) অক্ষরবৃত্ত
✅ উত্তর: (গ) স্বরবৃত্ত
আশা করি তোমাদের যথেষ্ট কাজে লাগবে এই নোটস এবং আলোচনা পর্ব গুলি, অন্যান্য অধ্যায় এবং বিষয়েরও আমরা একইভাবে নতুন প্যাটার্নের যে তোমাদের পড়াশোনা করার জন্য প্রস্তুতিতে আমরা সাহায্য করবো। তার জন্য তোমরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাও তারপরে বাসি অবশ্যই অবশ্যই।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম Study গ্রুপে যুক্ত হোন -