মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। দ্বিতীয় দিনেও অস্বস্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ইংরেজি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ইংরেজির প্রশ্নপত্র। আবারও সেই মালদা জেলা থেকেই ফাঁস হলো প্রশ্ন। পর্ষদ সভাপতির দাবি চক্রান্ত করেই এই প্রশ্ন ফাঁস করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে পর্ষদ? চলুন জেনে নিন।
ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস
গত ২রা ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ ৩রা ফেব্রুয়ারী ছিল ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও আটকানো গেলো না প্রশ্ন ফাঁস। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হতে থাকে ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্র। এরপরই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে পর্ষদ।
আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, দ্বিতীয় দিনেও মালদহ জেলা থেকেই ইংরেজি ভাষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেও এই জেলা থেকেই বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। সেদিন ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কিউআর কোড স্ক্যান করে অভিযুক্ত দুই ছাত্রদের চিহ্নিত করে পর্ষদ। ইতিমধ্যে তাদের পরীক্ষা ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে পর্ষদ।
পরীক্ষা বাতিল করা হলো ৬ জন পরীক্ষার্থীর
তবে এতো কড়া পদক্ষেপের পরও যে এভাবে প্রশ্ন ফাঁস হবে তা ভাবতে পারেনি পর্ষদ থেকে শুরু করে শিক্ষক মহল। আজ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ৪ জন ছাত্র ও ২জন ছাত্রীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের পরীক্ষাও বাতিল করেছে পর্ষদ। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মালদহ জেলার এনায়েতপুর হাই স্কুল থেকে এই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।
কারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে যাতে ধরা না যায়, সে জন্য প্রশ্নে থাকা কিউআর কোড লাল কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে পর্ষদ। তবে পর্ষদ বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিউয়ার কোড স্ক্যান করে অভিযুক্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে। আসলে এই বছর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে থাকছে কিউআর কোড। কিউআর কোড স্ক্যান করে সহজেই বোঝা যাবে কোন ছাত্রের কাছে প্রশ্নটি রয়েছে। মূলত প্রশ্ন ফাঁস আটকাতেই এমন নয়া সিস্টেম চালু করেছিল পর্ষদ। কিউআর কোড স্ক্যান করে গতকালও প্রশ্ন ফাঁস কে করেছে তা চিহ্নিত করা গিয়েছে এবং আজও তাই।
পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য
এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চাইছি। কিন্তু কেউ প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে।’ তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্য প্রনিতভাবে এই কাজ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র মালদহ জেলা থেকেই কেন বারবার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখব। এই ঘটনা স্বাভাবিক নয়। এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট » https://wbbse.wb.gov.in/
অবশ্যই পড়ুন » Madhyamik Pariksha 2024: পরীক্ষার্থীদের জন্য নবান্নের বিশেষ পদক্ষেপ! কি সুবিধা থাকছে? জেনে নিন
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »