শিক্ষকদের ওপর নজরদারি চালাবে শিক্ষা দপ্তর! প্রধান শিক্ষকদের চিঠি, কি কারণে?

Westbengal Education department will monitor teachers activities during duty hours

শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রধান কাজ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করিয়ে সঠিকভাবে তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা। কিন্তু বাস্তবে সেটা কি আদেও হয়? উত্তর না! ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি নানা রকম অফিশিয়াল কাজকর্ম থেকে অনেক একাডেমিক কাজও টিচারদের করতে হয়, প্রয়োজনে বিভিন্ন অফিসে ছোটাছুটি করতে হয়।

   

স্কুল চলাকালীন শিক্ষকদের অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার অভিযোগে শিক্ষা দফতর নজরদারি শুরু করেছে। বিভিন্ন স্কুল থেকে এই ধরনের একাধিক অভিযোগ উঠে আসার পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয়দের কাছে চিঠি করে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। সমস্ত কিছু তুলে ধরা হল আজকের প্রতিবেদনে।

স্কুলের সময়ে অন্য কাজ, নজরদারি শিক্ষা দফতরের

স্কুল চলাকালীন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা অন্য কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। জেলা পরিদর্শকের নেতৃত্বে ছোট ছোট দল তৈরি করে স্কুলগুলিতে নজরদারি চালানো হবে।

সরকারি কোনও নির্দেশ (Official Work), নির্বাচন সংক্রান্ত (Election Duty) কোনও কাজ ছাড়া অন্য কোনও কারণ দর্শিয়ে ছুটি নিলে, প্রধান শিক্ষক বা স্কুলের কার্যকরী সমিতির কাছে অনুমতি নিতে হবে। প্রত্যেক মাসে প্রধান শিক্ষকদের সেই শিক্ষক বা শিক্ষককর্মীকে এই সংক্রান্ত তথ্য স্যালারি রিকুইজেশন স্লিপের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দেখে নিন: এবার পড়াশোনাতে ‘PEN’ নাম্বার! জানুন কি এই ‘PEN’, কি কাজে লাগবে?

বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের মতামত

অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা তাদের প্রাপ্য ছুটি নিয়ে কোথায় কী করবে, সেই বিষয়টির নজরদারি প্রধান শিক্ষকরা করবেন কী ভাবে?”

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “এই বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন।” শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার উল্লেখ নেই কী অভিযোগ রয়েছে, কেন এই নজরদারি?

আরো পড়ুন: School Teacher Private Tuition: সরকারি শিক্ষকদের টিউশন পড়ানোর অভিযোগ! নতুন নির্দেশ হাইকোর্টের

শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হলেও, এর বাস্তবায়নে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করা এবং প্রধান শিক্ষকদের ভূমিকা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও শিক্ষক সম্প্রদায়ের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলা শিক্ষার খুঁটিনাটি আপডেট থেকে পড়াশোনার সমস্ত খবর আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান সবার আগে

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপটেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -

Join Group

Telegram