সরকারি স্কুলের অনেক শিক্ষকেরাই চাকরী করার পাশাপাশি টিউশনি করে মোটা টাকা আয় করে থাকেন, যা সরাসরি নিয়মবিরুদ্ধ এবং সেই নিয়ে বড় অভিযোগ করেন গৃহ শিক্ষকেরা (Home Private Tutors)। ইতিমধ্যেও এই নিয়ে হাইকোর্টে দীর্ঘকালীন মামলা এবং রায় বেরিয়েছে। তবে এখন থেকে আর টিউশনি করতে তো পারবেনই না শিক্ষকেরা, নিয়ম অমান্য করলে বাতিল হতে পারে চাকরি। ঠিক এমনি বড় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, বিস্তারিত জেনে নিন আজকের পোস্টে।
প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশ
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা সরকারি বেতন হওয়ার পাশাপাশি বাইরে টিউশন করে টাকা রোজগার করছেন, এমনকি বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেই স্কুলেরই পড়ুয়ারাই গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বাড়িতে। অথচ সরকারি নির্দেশিকা বলছে স্কুল টিচারদের কোনোরকম টিউশনি করা যাবে না। তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Whereas Section 28 in The Right of Children to Free and Compulsory Education Act, 2009 says "No teacher shall engage himself or herself in private tuition or private teaching activity."
দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক শিক্ষকরা বেআইনিভাবে টিউশনি পড়াচ্ছেন যার মাধ্যমে তাঁরা সরকারি আইন অমান্য করছেন সেকারণে পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্রাইমারি টিচারদের জন্য জারি নির্দেশিকা জারি করেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী –
- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান গত ১৮ জুলাই একটি নোটিশ জারি করেন। সেখানে বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে টিউশনি শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হবে।
- এবিষয়ে 15 দিনের মধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের আপডেট: School Teacher Private Tuition: সরকারি শিক্ষকদের টিউশন পড়ানোর অভিযোগ! ধরা পড়লেই শাস্তি
এমন পদক্ষেপের ফলাফল, বাকি জেলাগুলিতেও আসবে!
এমন পদক্ষেপে ফলাফল হিসেবে সবচেয়ে বেশি খুশির জোয়ার দেখা গিয়েছে গৃহশিক্ষক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।গৃহশিক্ষকরা বলছেন, শুধু একটি জেলাই নয়, এই নজির সৃষ্টি হলে সমগ্র রাজ্যজুড়েই স্কুল টিচারদের টিউশনি করার প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।
আরো পড়ুন: প্রাইমারি স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণি, দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু করলো শিক্ষা দপ্তর! আপডেট দেখে নিন
তাই আস্তে আস্তে রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতেও যে কোন সময় এরকমই বিজ্ঞপ্তি আসতেই পারে! আগে থেকে হাইকোর্টের তরফ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল এবং এই বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল অফিসগুলিকে তদারকি এবং তদন্ত করার জন্য।
আরও আপডেট »