রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের অভাব, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে ভুগছে স্কুলগুলি! রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছবি তুলে ধরলেই দেখা যায় রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার এবং গরমিল রয়েছে। কোন কোন স্থানে শিক্ষকের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি আর সেই তুলনায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম আবার কোন ক্ষেত্রে পড়ুয়া অনেক থাকলেও নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক! আর সম্প্রতি এই নিয়েই মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই গরমিল শিক্ষক ও ছাত্র সংখ্যা নিয়ে কি মন্তব্য রাজ্য সরকারের তা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য
পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রাথমিক মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষকের বেশ ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে বেশ কিছু স্কুল বন্ধের মুখে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্কুল শিক্ষকের নিয়োগ পদ্ধতি শুরু হবে ততই এই সমস্যার সমাধান মিটবে।
পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রী পুনরায় শিক্ষক নিয়োগের কথা তুলেছেন সেটা সাধারণের জন্য যথেষ্ট সুখবর। তবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কন্যাশ্রী এবং বৃত্তির প্রকল্প কেবল পড়াশুনার চালিয়ে যেতে সহায়ক নয়। কেননা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উপযুক্ত স্কুল শিক্ষকের অভাবে অধিকাংশ ছাত্রীরা মাধ্যমিক পাশের আগেই স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে অর্থাৎ ড্রপ আউট সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
অবশ্যই দেখবেন: Permanent Education Number: এবার পড়াশোনাতে ‘PEN’ নাম্বার! জানুন কি এই ‘PEN’, কি কাজে
শিক্ষকমহলের মত ও বাংলার শিক্ষার ভবিষ্যৎ
বর্তমানে রাজ্য জুড়ে স্কুল কলেজ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি শিক্ষকদের শূন্য পদ রয়েছে। কোর্ট কাছারির নির্দেশে বা অন্যান্য কারণে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়োগের ক্ষেত্রে ফের স্বচ্ছতা আনা বিশেষ দরকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষক মহলের অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকারা। কেননা বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার যা হাল সেই অনুসারে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যে যথাযথ শিক্ষা পাবেনা তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্যি।
আরো পড়ুন: প্রাইমারি স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণি, ঘাটতি মেটাতে দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু করলো শিক্ষা দপ্তর!
অবিলম্বে রাজ্যের সরকারের সকল প্রকার দুর্নীতিমূলক কাজ কর্ম থেকে সরে এসে স্বচ্ছতার সঙ্গে সৎ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা উচিত না হলে খুব দ্রুতই শিক্ষা ব্যবস্থা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »