New curriculum of physical education and art education in the new academic year! Decision of Education Department, Westbengal. পুথিশিক্ষার পাশাপাশি শারীরশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা প্রাচীনকাল থেকে বহু মুনী ঋষিরাই বলে গেছে। শরীর স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কী করে পুথিবিদ্যা হবে? আর এই কারনেই বিগত বছরগুলি ধরে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন স্কুল গুলিতে টুকিটাকি শারীরবিদ্যা শেখানো হত। তবে এর কোন নির্দিষ্ট সিলেবাস বা বই বলে কিছুই ছিল না।
পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরনের ফলে মাধ্যমিক স্তর থেকে বাদ গেলেও প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক বিভাগে এক প্রকারই বাধ্যতামূলক রাখা হয়। তবে বর্তমানে পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যক্রমের অভাবে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে এই দুটি বিষয়ের সামঞ্জস্য হারিয়ে যায়। রাজ্য জুড়ে স্কুলগুলিতে এই দুটি বিষয়ে ফের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তার কথা ওঠে।
রাজ্যে স্কুল সিলেবাসে ‘আর্ট এন্ড ওয়ার্ক এডুকেশন’
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক বিভাগের জন্য শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার জন্য এক ও অভিন্ন বইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিগত বছরগুলিতে এই দুটি বিষয়েই কোন ব্যবস্থা করা হয়নি আর সেই কারনে বিভিন্ন স্কুলে এই দুটি বিষয় পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে কোন মিল থাকছে না বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নড়েচড়ে বসল রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ।
শিক্ষা দফতরের সভাপতি উদয়ন বন্দ্যেপাধ্যায় এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে জানান, ভিন্ন পাঠ্যক্রম ও কোন পাঠ্যপুস্তক না থাকায় বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকছিল না। এই বিষয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষন করে চিঠি দেওয়া হয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই অভিন্ন পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের নব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: WBCHSE: উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাসে পড়ানো হবে ডেটা সায়েন্স ও AI! নোটিশ জারি সংসদের
বলে রাখা ভালো, ৯০ এর শতকে পাঠ্যক্রমে মাধ্যমিক স্তর অবধি কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বাধ্যতামূলক ভাবেই ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হত। পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষা সহযোগে ফাইনাল পরীক্ষায় নম্বর যোগ হত। অবশ্য এরপরে এই দুটি বিষয়কে মাধ্যমিক স্তরে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পরীক্ষার্থীর মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩৪ নম্বর বাদ দিয়ে বাকি নম্বর মাধ্যমিকের মূল নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হত।
পাঠক্রমের আধুনিকীকরণ
পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরনের দরুন বিষয়ভিত্তিক নাম পরিবর্তনও আসে। শারীরবিদ্যার সঙ্গে স্বাস্থ্য জুড়ে ‘স্বাস্থ্য ও শারীরবিদ্যা’ বিষয়টি আসে। অন্যদিকে আর্টওয়ার্কের ক্ষেত্রেও ‘ আর্ট এন্ড ওয়ার্ক এডুকেশন’ নামে বিষয়টির নবীকরন করা হয়। তবে এই নামকরন অবধিই শেষ, কোন নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তকেরও ব্যবস্থা করা হয় না। আর সেই কারনে বিগত বছরগুলিতে বাজার চলতি কিছু বই ছিল প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ভরসা।
বাংলা শিক্ষা পোর্টাল: https://banglarshiksha.gov.in/
স্কুল শিক্ষিকারা বেশ কিছু বই বেছে নিয়েই ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করাতেন। সুনির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের অভাবে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে বিভ্রান্তি ও অসমতার সৃষ্টি হয়। তাই বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে শিক্ষা দফতরের এই নব পদক্ষেপ। প্রতিবেদনটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে দেবেন।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »